বাংলায় তুঙ্গে মোদি-মমতা তরজা। সন্ন্যাসীদের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া মোদির। তীব্র কটাক্ষ দিলীপেরও। মোদির বঙ্গ সফরের দিন বিজেপিতে ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। পঞ্চম দফা ভোটের দিন রাজ্যে কালবৈশাখী। বিজেপি দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ করে গ্রেপ্তার আপ কর্মী।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণের জের, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে শোকজ কমিশনের
আরও শুনুন: 16 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- নন্দীগ্রামে ‘প্রতারণা’র বদলা নেবই, শুভেন্দু গড়ে দাঁড়িয়ে হুংকার মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. ভোটের মাঝে সন্ন্যাসীদের রাজনীতি যোগ নিয়ে নতুন বিতর্ক রাজ্যে। সম্প্রতি এক সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির হয়ে প্রচার করছেন রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম, ইসকনের সন্ন্যাসীরা। রবিবার বাংলায় এসে এই মন্তব্যেরই পালটা দিলেন মোদি। বিশ্ববন্দিত ধর্মীয় ও সেবামূলক সংগঠনগুলির নামে এমন মন্তব্য আসলে ভোটের জন্য নিম্নস্তরের রাজনীতি বলে কটাক্ষ তাঁর। এদিন পুরুলিয়ার গ্যাংগারা ময়দানে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর সমর্থনে প্রচারে এসে স্বামী বিবেকানন্দের প্রসঙ্গ তোলেন মোদি। মঞ্চে ছিলেন পুরুলিয়ার ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান নিত্যসুধানন্দ মহারাজ। মোদির তোপ, “যে সরকার বাংলার মানুষের সংস্কৃতিকে সম্মান করে না, ভোটে তাদের সাজা দিন।” এদিকে মমতাকে পালটা দিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে দেন, মুখ্যমন্ত্রী মৌলবাদীদের রাজনীতি করাতে পারেন! তাঁদের সঙ্গে নমাজ পড়ে ভোট টানতে পারেন। আর সাধুসন্তরা বললেই দোষ?
এদিনের সভা থেকে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, বিজেপি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে কোনও দুর্নীতিবাজ জেলের বাইরে থাকবে না। সভা শেষে বাংলা ভাষায় মোদির হুঙ্কার, “৪ জুনের পর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র হবে অ্যাকশন।” আর যে টাকা উদ্ধার হচ্ছে, তা আমজনতাকে ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানিয়েছেন মোদি।
2. মোদির বঙ্গ সফরের দিনই বিজেপিতে ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। এবারের নির্বাচনে টিকিট পাবেন না, এই সন্দেহেই দল ছেড়েছিলেন বিদায়ী সাংসদ। সেই জল্পনা সত্যি করে ঝাড়গ্রাম থেকে বিজেপির টিকিট পান প্রণত টুডু। এরপরই মুকুটমণি অধিকারীর পথে হেঁটে ফুলবদলের সিদ্ধান্ত নিলেন কুনার। এদিন মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের তুলোধোনা করেন তিনি। এদিকে, ঝাড়্গ্রাম থেকে ফের আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হন অভিষেক। আবাসের পাশাপাশি একশো দিনের কাজের টাকা নিয়েও সুর চড়ান তিনি। অভিষেকের আরজি, “ভোট দিন ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখে।” অন্যদিকে দেবের সমর্থনে কেশপুরে প্রচারে গিয়ে হিরণকে একহাত নিলেন অভিষেক। তাঁর খোঁচা, “বিজেপি প্রার্থীর চার বছরে কোনও সিনেমা নেই। সেই কারণেই পয়সা কামাতে রাজনীতিতে।” সবমিলিয়ে মোদির বঙ্গ সফরের দিনে তৃণমূলের হয়েও প্রচারে সড়া ফেললেন সেনাপতি অভিষেক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।