রামমন্দির উদ্বোধনে অযোধ্যায় উপস্থিত ছিলেন দেশের নানা প্রান্তের সাধুরা। সেদিন সকলের মুখেই শোনা গিয়েছিল মোদির প্রশংসা। মোকসভা ভোটের আবহে মোদি প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও। ঠিক কী কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছেন তাঁরা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
লোকসভা ভোটের আবহে দেশের নানা প্রান্তে সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিভিন্ন কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে করছেন রোড-শো। তাতে অংশ নিচ্ছেন হাজার হাজার মোদি ভক্ত। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখার আশায় ভিড় জমাচ্ছেন প্রচুর সাধারণ মানুষও। সকলের মুখেই মোদির জয়গান। সেই দলে এবার যোগ দিলেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও।
বিজেপির বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী ইস্যুতে একাধিক অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। রামমন্দির প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখেও কম তরজা হয়নি। কিন্তু যারা রামমন্দির তৈরির আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, তাঁরা এর সব কৃতিত্ব মোদিকেই দিতে চেয়েছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হিন্দু সন্তরা মোদি প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। সম্প্রতি একইভাবে মোদিকে বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক বলেও দাবি করলেন বৌদ্ধ মঠের সন্ন্যাসীরা। চলতি নির্বাচনে বারাণসী কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন মোদি। সেখানকার বৌদ্ধ ভিক্ষুকরাই মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, বিগত ১০ বছরে দেশের প্রায় সমস্ত বৌদ্ধ মঠেই উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে, যেসব স্থান সরাসরি ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত সেইসব জায়গার উন্নতি হয়েছে দেখার মতো। আর এইসবকিছু সম্ভব হয়েছে মোদির জন্য। শুধু বৌদ্ধ মঠ নয়, সেখানে পৌঁছানোর জন্য পরিবহন ব্যবস্থাও উন্নত করেছেন মোদি। যার দরুন গোটা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বৌদ্ধ মঠে পৌঁছতে পারছেন সকলে। এই প্রসঙ্গ ধরেই মোদিকে বৌদ্ধধর্মের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বলে উল্লেখ করেছেন ভিক্ষুরা।
এখানেই শেষ নয়। মোদিকে দেশের অন্যতম সেরা নেতা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। কেউ কেউ এমনটাও বলছেন, ১০০০ বছরে মোদির মতো নেতা ভারতে সেখা যায়নি। তাই মোদি জমানায় বৌদ্ধ সংস্কৃতির আরও উন্নতি আশা করছেন তাঁরা। আগামী নির্বাচনেও মোদিকেই জয়ের মুকুট পরানোর কথা বলেছেন ভিক্ষুদের একাংশ। শুধু তাই নয়, মোদি আরও ১০০ বছর বেঁচে থাকুন এই প্রার্থনাও করেছেন। এছাড়া প্রধাণমন্ত্রীকে সব ধর্মের প্রতি সমানভাবে সহিষ্ণু বলেও দাবি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের। এর আগে কোনও সরকারই বৌদ্ধদের নিয়ে তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও আক্ষেপ তাঁদের। কিন্তু মোদি তাঁর জমানায় অন্যান্য অনেক কাজের মতোই বৌদ্ধ মঠের উন্নতি করেছেন। সেই কারণেই মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।