সম্পর্কে বিচ্ছেদ তো গুরুতর ব্যাপার। কতখানি অসহ হলে তবে সম্পর্কের বাঁধন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চান কেউ, তা নিয়ে কম কথা হয় না। তবে, সেই ডিভোর্সের কারণ কি হতে পারে নেহাতই এক প্যাকেট কুড়কুড়ে? শুনতে অবাক লাগে বটে, তবে, ঘটনা বলছে তা হতেই পারে। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সোনা নয়, দানা নয়; দাবি শুধু এক প্যাকেট কুড়কুড়ে-র। মোটে পাঁচ টাকা দাম। স্বামী যখন অফিস থেকে ফিরবেন, যেন মনে করে তাঁর জন্য একটা কুড়কুড়ের প্যাকেট হাতে করে নিয়ে আসেন। এই ছিল স্ত্রী-র দাবি। আর সে দাবি না মিটতে রেগে স্বামীর ঘরই ছাড়লেন এক মহিলা। সোজা গিয়ে উঠেছেন বাপের বাড়ি। এখন সম্পর্ক থেকে মুক্তি অর্থাৎ ডিভোর্সই চাইছেন তিনি।
আরও শুনুন: পরীক্ষা দিতে হয় না, তবু বছর বছর মাধ্যমিক পাশ করেন যাঁরা
আগ্রার এই ঘটনা বেশ চমকে দেওয়ার মতোই। কেননা ডিভোর্সের মতো সিদ্ধান্ত অনেক ভেবেচিন্তেই কেউ নেন। সেখানে নেহাতই একটা স্ন্যাক্সের প্যাকেট ভূমিকা নিতে পারে নাকি? অথচ ঘটনা বলছে, ওইটিই নাকি মূল কারণ। ২০২৩-এ বিয়ে হয় তাঁদের। তার পর থেকে প্রতিদিন এক প্যাকেট কুড়কুড়ে হাতে বাড়ি ফিরতেন স্বামী। মাস দেড়েক আগে কোনও একটা কারণে তিনি তা আনতে ভুলে যান। আর তাতেই রেগে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী। ঘটনা শুধু এখানেই থেমে থাকেনি। কিছুদিন পর দুজনই পুলিশের দ্বারস্থ হন। মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্তা করতেন। এই অভিযোগ যে গুরুতর তা নিয়ে সন্দেহ নেই। অন্যদিকে পুরুষটির দাবি, কুড়কুড়ে আনতে ভুলে যাওয়ার জন্যই এই ঘটনা।
আরও শুনুন: ক্লিভেজ কেন দেখা যাচ্ছে? প্রশ্ন টিভি সঞ্চালিকাকে, মিলল মোক্ষম জবাবও
দুই পক্ষের কথা শুনে দম্পতিকে একটি ফ্যামিলি কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে দুজনেই মনের কথা খুলে বলেন। দুজনের বিরুদ্ধে দুজনের যা অভিযোগ আছে, তা মন দিয়ে শোনেন কাউন্সেলর। কথাবার্তা শুনে তিনি বলছেন, স্ন্যাক্স বিশেষত ওই কুড়কুড়ে মহিলার খুব প্রিয়। তিনি এতে প্রায় আসক্তই বলা যায়। তাঁর মত, এই কুড়ুকুড়ের কারণেই দম্পতির সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। তবে, তাঁর আশা আর একবার কাউন্সেলিং করলে, এই সমস্যা মিটে যাবে। দম্পতিকে তিনি তাই আর একটি সেশনে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ছেন।
তাঁদের দাম্পত্য অটুট থাক এটুকুই সকলে প্রার্থনা করছেন। তবে, কুড়কুড়ে-র কারণে যে সম্পর্কে ফাটলও ধরতে পারে, এই ঘটনা আদতে সকলকে অবাকই করে দিয়েছে।