ভোটপ্রচারে বেরিয়ে সাড়ে ৬ লক্ষ শব্দ খরচ মোদির। সেখানে কোন কোন শব্দ সবচেয়ে বেশিবার এল, আর ব্রাত্য রইল কোন শব্দগুলি, সে খতিয়ান তুলে ধরেই এবার মোদিকে খোঁচা লালুপ্রসাদের। শুনে নেওয়া যাক।
মাছ, মঙ্গলসূত্র থেকে মন্দির, মসজিদ। লোকসভা নির্বাচনে নানা শব্দের জয়জয়কার। সেই কোলাহলে হারিয়েই গেল বেকারত্ব বা মূল্যবৃদ্ধির মতো শব্দেরা। নরেন্দ্র মোদির ভোটপ্রচারে বলা যাবতীয় শব্দের হিসেবনিকেশ করে এই মর্মেই কটাক্ষ লালুপ্রসাদ যাদবের। ভোটপ্রচারে মোদির বিহারে আসার আবহেই তাঁকে বিঁধলেন আরজেডি সুপ্রিমো।
আরও শুনুন:
মঙ্গল-অমঙ্গলসূত্র! দুর্নীতিকে দূরে ঠেলে ভোট যেন সেই ‘ধর্ম’যুদ্ধ
লোকসভায় জিতে তৃতীয়বারের জন্য মসনদে ফিরতে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। দেশজুড়ে প্রচার চালিয়ে ফিরছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। আর প্রচারের মঞ্চ থেকে একদিকে যেমন মোদি গ্যারান্টি বা সরকারি প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান দিচ্ছেন, তেমনই কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের নিশানা করতে কোনও তিরই বাকি রাখছেন না তিনি। শ্রাবণ মাস কি নবরাত্রিতে মাছ-মাংস খাওয়া নিয়ে যেমন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব বা রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগেছেন মোদি, তেমনই কংগ্রেসের ইস্তেহারে ‘মুসলিম লিগের মনোভাব’ প্রকাশ পাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছেন। প্রথমদিকে তাঁর বক্তব্যে ধর্মীয় রং তুলনায় কম থাকলেও, ভোটের দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁজালো হচ্ছে বিভাজনমূলক বক্তব্যের সুর। কংগ্রেসকে বিঁধতে গিয়ে তিনি এমনটাও ইঙ্গিত করেছেন যে, হাত শিবির ক্ষমতায় এলে হিন্দু মহিলাদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে তা বিলিয়ে দেওয়া হতে পারে। আবার ভারত নয়, রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে পাকিস্তান, এ কথা বলতেও ছাড়েননি। সব মিলিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন আর সেই সূত্রে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ফের শান দিচ্ছেন মোদি। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে মূল্যবৃদ্ধি, দারিদ্র্য, বেকারত্ব বা দুর্নীতি নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছে, সে কথা উহ্যই থেকে যাচ্ছে মোদির বক্তৃতায়- এমনই কটাক্ষ লালুর।
আরও শুনুন:
মাছ, মাংস, মিষ্টি… স্বাদের আহ্লাদও আসর মাতাচ্ছে ভোট-রাজনীতির
নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে আরজেডি নেতা বলেছেন, প্রথম দু’দফা নির্বাচনের হিসেব মোতাবেক ভোটপ্রচারের দরুন হিন্দি ভাষায় দেড় লক্ষ শব্দ খরচ হয়ে গিয়েছে। আর সব বিষয়ের টেকনিক্যাল তত্ত্ব-তথ্য ধরে মোট শব্দ খরচের সংখ্যা ঠেকছে মোটামুটি সাড়ে ৬ লক্ষে। কিন্তু এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় শব্দ কী কী? আটটি শব্দ তুলে সেই তালিকা করে ফেলেছেন লালু। তাঁর সাফ দাবি, পাকিস্তান, হিন্দু-মুসলিম, মন্দির-মসজিদ, মাছ-মুঘল, মঙ্গলসূত্র, গরু-মোষ, শ্মশান ও কবর- এই আট শব্দই মোদির সবচেয়ে প্রিয়। আর এরপরেই লালুর তোপ, প্রধানমন্ত্রী আসলে কয়েকটি শব্দ ভুলেই গিয়েছেন। চাকরি, বেকারত্ব, দারিদ্র্য, উন্নতি, ছাত্র বা বিজ্ঞানের মতো শব্দ নিয়ে তাই তাঁর মুখে উচ্চবাচ্য নেই। প্রথম দু’দফার ভোটেই চারবার বিহার সফরে এসেছিলেন মোদি। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর জন্য ভোট চেয়ে এত শব্দ খরচ করলেও, মাছ মাংস কি মঙ্গলসূত্রেই কথা শেষ করছেন তিনি। সে বক্তব্যে বিভাজনের গন্ধ এতই ম’ ম’ করে উঠছে যে দেশের দুর্নীতি দমন ও উন্নতির জন্য যে প্রসঙ্গগুলি নিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরি, তা পিছিয়েই যাচ্ছে। নির্বাচনের বাজারে মোদির এহেন নির্বাচিত আলোচনার ঝোঁক নিয়েই এবার তাঁকে তোপ দাগলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
प्रणाम देशवासियों!
हिंदी भाषा में आज लगभग 1.5 लाख शब्द बताये जाते हैं तथा अध्ययन की सभी शाखाओं में तकनीकी शब्दों को मिलाकर लगभग 6.5 लाख शब्द हैं।
लेकिन देश के प्रधानमंत्री नरेंद्र मोदी के पसंदीदा, सबसे (𝐟𝐚𝐯𝐨𝐮𝐫𝐢𝐭𝐞) शब्द हैं:-
पाकिस्तान
श्मशान
क़ब्रिस्तान…— Lalu Prasad Yadav (@laluprasadrjd) May 3, 2024