আগামী সপ্তাহেই ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। মে মাসের শুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানাল হাওয়া অফিস। ‘মঙ্গলসূত্র’ বিতর্কে মোদিকে তোপ মমতার। শাঁখা-পলার মাহাত্ম্য জানেন? প্রশ্ন তৃণমূল সুপ্রিমোর। শুধু ডায়মন্ড হারবার নয়, ৪১ আসনেই সৈনিক। ভোটের প্রচারের আত্মীয়তার সুর অভিষেকের। ফের পুনর্নির্বাচন মণিপুরে। আগামী মঙ্গলবার ৬ বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- অস্ত্র-সন্ধানে সন্দেশখালিতে NSG, ‘অতিনাটকীয়’ বলে তোপ কুণালের
বিস্তারিত খবর:
1. বঙ্গে তীব্র দাবদাহের মধ্যে অবশেষে মিলল স্বস্তির খবর। আগামী সপ্তাহেই বদলাতে পারে আবহাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিসের দাবি, আগামী সপ্তাহেই বৃষ্টির দেখা পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। রবিবারও তীব্র দাবদাহে কাহিল বঙ্গবাসী। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩। অতীতে এপ্রিল মাসে এমন তাপপ্রবাহ হয়নি বলেই মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর। সামগ্রিক এই পরিস্থিতি চলবে ৪ মে পর্যন্ত। তবে তারপরই সুখবর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ৫ মে থেকে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আপাতত প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া ঢুকছে। কিন্তু তা বেশ দুর্বল। ফলত পরিস্থিতি সেভাবে বদলাচ্ছে না। তবে, ৫ তারিখ থেকে সেই অবস্থা পালটাবে। মনে করা হচ্ছে, প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে। উত্তর গোলার্ধে তৈরি হওয়া অক্ষরেখা ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে দক্ষিণ দিকে আসবে। তার ফলে ভিজতে পারে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। তার ফলে তাপপ্রবাহ এবং লু-এর দাপট কমবে বলেই আশাবাদী আবহাওয়াবিদরা।
2. ‘মঙ্গলসূত্র’ বিতর্কে এবার মোদিকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শাঁখা-পলার মাহাত্ম্য কি আদৌ মোদি জানেন, রবিবার মালদহর জনসভা থেকে সেই প্রশ্নই তুললেন তিনি। কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে মন্তব্য করতেই গিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। পুরনো প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, “মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে আগেই বিরোধী শিবিরে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। এবার পালটা এল মমতার তরফে। বললেন, “উনি যা বলেছেন, আমি তা উচ্চারণ করতে চাই না। আমি ওসবে বিশ্বাসও করি না। কিন্তু আমি যতদিন থাকব, ততদিন ঐক্য, শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যাব। আমার কাছে সতী-সাবিত্রী-সীতা আর জাহানারা-রোশেনারার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।” তবে শুধু মোদিকে পালটা জবাব দেওয়া নয়, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে কোনও ভাবেই ক্ষুণ্ণ না হয়, এদিনের বক্তব্যে তার উপরই জোর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, সুজাপুরের প্রচারসভা থেকে মানুষের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি। এলাকার বিধায়ককে কাছে না পাওয়ার ক্ষোভ ছিল জনতার। এদিন তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, সুজাপুরের দায়িত্ব তাঁরই, তিনি নিজেই যাবতীয় বিষয় দেখভাল করবেন। স্বাভাবিকভাবেই এতে খুশি স্থানীয়রা। তাঁদের আশা, এবার সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।