সুপ্রিম কোর্টে SSC মামলায় শুনানি হতে পারে আগামী সোমবার। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেই শুনানি। সুবিচারের আশায় যোগ্য চাকরিহারারা। সন্দেশখালিতে অস্ত্র অভিযান নিয়ে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের। জানানো হয়নি রাজ্য পুলিশকে। অভিযানের উদ্দেশ্য নিয়ে পালটা তোপ মমতার। হেলিকপ্টারে বসতে গিয়ে পড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। চোট নিয়েই জনসভায় ঝাঁজালো বক্তব্যে বিঁধলেন বিজেপিকে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- অস্ত্র-সন্ধানে সন্দেশখালিতে NSG, ‘অতিনাটকীয়’ বলে তোপ কুণালের
বিস্তারিত খবর:
1. চাকরি বাতিল ইস্যুতে তৎপর সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবারই হতে পারে মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চেই শুনানির সম্ভাবনা। কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বহু যোগ্য প্রার্থীও। এই নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় SSC। যোগ্য প্রার্থীদের একটা অংশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় একই দাবিতে। পালটা আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেন মূল মামলাকারীরাও। সবকটি আর্জিই একত্রিত করে সোমবার শুনানির সম্ভাবনা। আদালতের রায়ে যে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, সোমবারের সুপ্রিম শুনানির দিকে তাকিয়ে তাঁদের সকলেই।
2. সন্দেশখালিতে সিবিআই, এনএসজির অস্ত্র অভিযান নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল। কমিশনে পাঠানো চিঠিতে শাসকদলের দাবি, কোনও নোটিস না দিয়েই সন্দেশখালিতে যৌথ তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই ও এনএসজি। গুজব ছড়াতে মিডিয়াকে হাতিয়ার করা হয়েছে। এভাবে দেশজুড়ে ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার প্রয়াস বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। যে জায়গাটি থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়েছে, তা তৃণমূল সমর্থকের বলে মিথ্যা খবর প্রচার করা হয়েছে বলেও দাবি শাসকদলের। যা ঘটছে তা গেরুয়া শিবিরের মদতে হচ্ছে বলেই দাবি শাসক শিবিরের। ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কুলটির জনসভায় অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “রাজ্য পুলিশকে জানায়নি। কী কী পাওয়া গিয়েছে জানা যায়নি। এটাও তো হতে পারে ওরাই গাড়িতে করে নিয়ে এসেছিল।” অর্থাৎ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পালটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের হাসনাবাদে এক বিজেপি নেতার ভাইয়ের বাড়িতেও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এদিনের সভায় সেকথা উল্লেখ করেন মমতা। কেন্দ্রীয় সংস্থার মতো অস্ত্র উদ্ধার ইস্যুতে একহাত নেন বিজেপিকেও। সোশাল মিডিয়ায় মমতা খোঁচা, “বিজেপির ডুবন্ত জাহাজকে কেউ বাঁচাতে পারবে না”। সবমিলিয়ে সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাকে সামনে রেখে ভোটবঙ্গে চলছে জোর চাপানউতোর।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।