পর্ন তৈরির অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হল অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে। এই গ্রেপ্তারি তুলে দিয়েছে অনেক প্রশ্ন। তবে কি মুম্বই জুড়ে ছড়িয়ে আছে পর্ন ইন্ডাস্ট্রির জাল? কীভাবে চলে এই ব়্যাকেট?
মায়ানগরী মুম্বই। দু-চোখে স্বপ্ন নিয়ে এখানে আসেন বহু তরুণ অভিনেত্রী। স্বপ্ন একটাই। জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। আর সেই স্বপ্নপূরণের সিঁড়ি চড়তে গিয়েই তাঁদের পড়ে যেতে হয় পর্ন ইন্ডাস্ট্রির খপ্পরে। সম্প্রতি শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেপ্তারির পর আবার শিরোনামে উঠে আসেছে এই প্রসঙ্গ। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গোটা মায়ানগরী জুড়েই ছড়িয়ে আছে এই অ্যাডাল্ট ফিল্ম র্যা কেট? দুর্ভাগ্যজনক হলেও, উত্তরটা হল- হ্যাঁ। এই জাল ছড়িয়ে আছে ইন্ডাস্ট্রির রন্ধ্রে রন্ধ্রে, এবং বহু অভিনেত্রীই না জেনে পা দিয়ে ফেলেন এই জগতে।
কীভাবে রমরমিয়ে চলে এই ব়্যাকেট?
আরও শুনুন: যোগীরাজ্যে উপেক্ষিত! পাঠ্যবই থেকে বাদ Rabindranath Tagore
ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, যারা এই ব়্যাকেট চালায় তাঁদের কাছে মূলধন হচ্ছে তরুণ অভিনেত্রীর নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। যাঁরা অডিশনের জন্য যোগাযোগ করেন, তাঁদের থেকেই কয়েকজনকে নির্বাচিত করা হয়। বলা হয়, আসন্ন কোনও ওয়েব সিরিজে তাঁদের অভিনয় করতে হবে। এবং সেখানে সাহসী দৃশ্যেও অভিনয় করতে হতে পারে। বলা বাহুল্য, আজকের যুগে বোল্ড দৃশ্যে অভিনয় করতে কেউই আপত্তি করেন না। আর ঠিক এখান থেকেই শুরু হয়ে যায় পর্ন ব্যবসায়ীদের খেলা।
নির্দিষ্ট দিনে শুটিং শুরু হয় মাড আইল্যান্ড এলাকার ফাঁকা কোনও বাংলোয়। স্টাফ খুব কমই থাকেন। মেরেকেটে জনা পাঁচ ছয়। সেই সময় অভিনেত্রীদের বলা হয়, চিত্রনাট্যে সামান্য বদল হয়েছে। যা বলা হচ্ছে সেই অনুযায়ী অভিনয় করতে হবে। যদি কোনও অভিনেত্রী তাতে নারাজ হন তখন নানাভাবে ভয় দেখানো হয়। এমনকী পুরো শুটিংয়ের খরচ দিতেও বলা হয়। উপায় না দেখে বাধ্য হয়েই অনেকে অভিনয় করেন। আসলে পা দিয়ে ফেলেন পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে।
আরও শুনুন: Durga Puja: পুজোয় বেরিয়ে পড়ার Plan! কতটা নিরাপদ হবে ভ্রমণ?
জানা যাচ্ছে, লক ডাউনের কারণে এই ধরনের ব্যবসা বেড়েছে কয়েকগুণ। কেননা পর্নের চাহিদাও বেড়েছে। আর এইসব পর্ন আপলোড করা হয় বিশেষ বিশেষ কিছু অ্যাপে। যত দিন গড়াচ্ছে, তত জাল ছড়াচ্ছে অলিতে গলিতে।
কিছুদিন আগেই এরকমই একটি কারণে গ্রেপ্তার করেছিল উমেশ কামাতকে। সূত্রের খবর, কামাতের সঙ্গে রাজ কুন্দ্রার যোগাযোগ এবং পর্ন আপলোড করে এরকম একটি সংস্থার সঙ্গে তার যোগাযোগই কাল হল। আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
তবে, এই চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। স্বপ্ননগরী যেন কারও কাছে দুঃস্বপ্নের না হয়ে ওঠে, প্রত্যাশা এমনটাই।