সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন নারায়ণ মূর্তি। সেই পরামর্শকেই কাজে লাগাল এই সংস্থাও, তবে ঠিক একইভাবে কি? আসুন, শুনেই নেওয়া যাক।
দেশের উন্নতি চাইলে কাজের জায়গায় সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা দিতে হবে যুবসমাজকে। সম্প্রতি তরুণ প্রজন্মকে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন ইনফোসিসের কর্ণধার এন আর নারায়ণ মূর্তি। আর তাঁর সেই বক্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। কিন্তু এবার দেখা গেল তাঁর সেই প্রস্তাবকেই কার্যত গ্রহণ করল বেঙ্গালুরুর এক সংস্থা। তবে, নারায়ণ মূর্তি যা বলেছিলেন, ঠিক সেভাবে নয় যেন, আরেকটু অন্যভাবে। ভাবছেন, কী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি? আসুন, তাহলে শুনেই নেওয়া যাক।
আরও শুনুন:
বসের আবার কী দরকার! কর্মীরা প্রত্যেকেই বস, নতুন মডেল চালু কর্পোরেট সংস্থায়
সত্যি বলতে, আন্তর্জাতিক কর্মনীতিতে সাফ বলাই হয়েছে যে, কোনও কর্মীকে আট ঘণ্টার বেশি শ্রম দিতে বাধ্য করতে পারে না সংস্থা। সেখানে নারায়ণ মূর্তি যতই দেশের উন্নতির সাফাই দিন না কেন, তাঁর এই অতিরিক্ত কাজের প্রস্তাবকে সন্দেহের চোখেই দেখেছেন কর্মীরা। ভারতের মতো দেশে এমনিতেই শ্রমনীতির ফাঁকফোকর রয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি ক্ষেত্রে। এমনকি বড় সংস্থা, বহুজাতিক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও অনেক সময়েই দেখা যায় যে সেই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েও কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা। সেখানে বড় বড় সংস্থার কর্ণধারেরা যে একযোগে বেশি কাজ করার পক্ষে সওয়াল করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথা ছিলই, আর তা উঠেছেও। তাহলে এতদিন পর ফের একই বিষয়কে আবার কেন নতুন করে টেনে আনল বর্তমান সংস্থাটি?
আরও শুনুন:
শিল্পপতিরাও লজ্জা পাবেন! লোকসভায় প্রথম দফার সবথেকে ধনী প্রার্থীকে চেনেন?
দেখা গিয়েছে, ওয়েকফিট নামের ওই সংস্থা সম্প্রতি একটি ভিডিও সামনে এনেছে। আর সেখানে নারায়ণ মূর্তির কথা মেনেই ৭০ ঘণ্টা প্রোডাক্টিভিটির কথা বলা হয়েছে। তবে কাজ করে নয়। ঘুমিয়ে। হ্যাঁ, সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা ঘুমোলে আসলে কর্মদক্ষতাই বাড়বে, এমনটাই বার্তা দেওয়া হচ্ছে ওই ভিডিওতে। মস্তিষ্ক ও শরীরকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দিলে তা ফের কাজ করার জন্য ভালোভাবে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, এমন কথা চিকিৎসকেরাও বলেই থাকেন। তবে এই সংস্থা সে কথাই বলেছে, একটু অন্যভাবে। তাদের বক্তব্য, যে কোনও ভাবে ঘুমিয়ে পড়লেই যে লাভ হবে তা নয়। নির্বিঘ্নে, নিরুপদ্রব ঘুমের জন্য চাই ওই সংস্থার বিশেষ ম্যাট্রেস। আসলে সেই ম্যাট্রেসের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্যেই তো এত কাণ্ড। বেঙ্গালুরুর সংস্থাটি জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই এই ইস্যুতে চাপানউতোরের উপর তারা নজর রেখেছিল। আর এবার সেই ইস্যুকেই নিজেদের বিজ্ঞাপনের কাজে অন্যরকম ভাবে ব্যবহার করল এই সংস্থা।