ভিডিও দেখে পরীক্ষার প্রস্তুতি। কোভিড পরিবর্তী সময়ে এমনটাই অভ্যাস হয়েছে অনেকের। শুধু পরীক্ষার পড়া নয়, কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হবে, সেই হদিশও দিচ্ছে ভিডিও-ই। যা বেদবাক্যের মতো বিশ্বাস করছেন কেউ কেউ। আদৌ কী এমনটা করা সঠিক? কী জানাচ্ছেন আইএস অফিসার? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সরকারি উচ্চপদস্থ আমলার চাকরি। যেমন বেতন, তেমনই ক্ষমতাই। কিন্তু এমনি এমনি তো সে চাকরি মিলবে না! দিতে হবে পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় পাশ করাও মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। তবু প্রতি বছর লাখো লাখো যুবক-যুবতী পরীক্ষায় বসে। তার জন্য বছরভর চলে জোরদার প্রস্তুতি।
একটা নয়, এ দেশে সরকারি চাকরির পরীক্ষা রয়েছে একাধিক। কিন্তু সেরার সেরা হাতে গোনা। তাই প্রতি বছর সেইসব বাছাই করা চাকরি পেতেই দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেন অনেকে। এমনই এক পরীক্ষা ইউপিএসসি। যা পাস করলে আইএএস হওয়ার সুযোগ মেলে। দেশের কিছু শহরও রয়েছে যেখানে স্রেফ এই চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিই করানো হয়। মোট তিনটে ধাপে পরীক্ষা। সব কটা উর্ত্তীর্ণ হতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত চেয়ারে বসার সুযোগ মিলবে। কিন্তু সবার পক্ষে তো আর সেই সব শহরে গিয়ে প্রস্তুতি সারা সম্ভব নয়। তাই ভরসা বলতে বই আর স্থানীয় কোচিং। এতদিন এইভাবেই পরীক্ষার প্রস্তুতি সারতেন সকলে। কিন্তু কোভিড আবহে বাজারে আসে ভিডিও দেখে পড়ার চল। সে সুয় ঘরে বসেই অনলাইন কোচিং-এর ব্যবস্থা করে দেয় একাধিক সংস্থা। যা বর্তমানে বেশ বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। পড়ার বিষয় তো বটেই, সেইসঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কেও একাধিক টিপস দিচ্ছেন নেটদুনিয়ার বিশেষজ্ঞরা। সেখানেই কেউ কেউ দাবি তুলছেন, দিনে অন্তত ১৮ ঘণ্টা পড়তে পারলেই মিলবে ফল। এমনকি এই নিয়ে কিছুও ভ্লগও তৈরি হয়েছে। যেখানে সত্যিই দিনে ১৮ ঘণ্টা পড়ার দাবি জানিয়েছেন এক তরুণী।
কিন্তু সত্যিই কি এমনটা করার প্রয়োজন রয়েছে?
খোদ আইএএস অফিসার আওয়ানিশ শরন (Awanish Sharan) বলছেন, একেবারেই না। এতক্ষণ পড়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেছেন ওই অফিসার। তাই ভিডিও শেয়ার করে বাকীদের সচেতনও করেছেন তিনি। সেখানে নেটদুনিয়ার বাসিন্দারাও সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, কতক্ষণ পড়া হচ্ছে সেটা বড় কথা নয়। বরং কী পড়া হচ্ছে সেটাই আসল। দেখানোর জন্য পড়া নয়। জানার জন্য পড়তে হবে। একাগ্রতা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু তার জন্য এমনটাও করার দরকার নেই। কিছুদিন আগেই সরকারি চাকরির পরীক্ষা নিয়ে ’12th Fail’ সিনেমাটি বেশ হইচই ফেলেছিল। তার আগে কিছু সিরিজেও দেখা হয়েছে সরকারি চাকরির প্রস্তুতির হাল হকিকত। সেখানেও এইভাবে ১৮ ঘণ্টা পড়ার সওয়াল করেননি কেউ। তাই নেটদুনিয়ার এই ভ্রান্ত ধারণাকে এড়িয়ে চলতেই পরামর্শ দিয়েছেন ওই আইএস অফিসার।
Misleading!!! Stay away from these blogs.
इतना भी नहीं पढ़ना होता है. pic.twitter.com/wn3YKIpekv
— Awanish Sharan 🇮🇳 (@AwanishSharan) April 12, 2024