ভূপতিনগরে এনআইএ-র উপর হামলা। পালটা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল। কড়া প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের। আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। হেমতাবাদের প্রচারসভায় মোদির ‘গ্যারান্টি’ চাইলেন মমতা। ভোটমুখী বাংলায় শাহি সফর। আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি সতর্কতা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 5 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘আমি থাকতে CAA-NRC নয়’, মোদিকে চ্যালেঞ্জ মমতার
আরও শুনুন: 4 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- এক দেশ, এক দলই বিজেপির নীতি, কোচবিহার থেকে তোপ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে গিয়ে ভূপতিনগরে ‘হামলা’র শিকার এনআইএ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ শনিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করতে যায়। পাঁচটি জায়গায় তল্লাশির পর বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। হামলায় এনআইএ প্রতিনিধি দলের একজন জখম হন। গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও হামলার ঘটনায় পালটা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন পুলিশকে সঙ্গে না নিয়ে অভিযানে গিয়েছে NIA, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ দাবি, মধ্যরাতে গ্রামে অচেনা কাউকে দেখলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভূপতিনগর নিয়ে বিশেষ নির্দেশও দেন মমতা। সেই নির্দেশমতো রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের সেখানে যাওয়ার কথা। পাশাপাশি, NIA-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই অভিযোগে তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে। এদিকে, ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে এবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।
2. শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। বাংলায় ভোট অশান্তি রুখতে তৎপর কমিশন। জানা গিয়েছে, আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যে আরও ১০০ কোম্পানি বাহিনী আসছে রাজ্যে। ১৯ এপ্রিল প্রথম পর্বে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ। রয়েছে মোট ৫ হাজার ৪০০ বুথ। তিন জেলায় যথাক্রমে ১৭, ৯ ও ১১ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে। রাজ্যজুড়ে রয়েছে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী। ফলে আদৌ সব বুথে বাহিনী মোতায়েন করা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এমতবস্থায় রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানালেন, বুধবারের মধ্যে আরও ১০০ কোম্পানি বাহিনী আসছে রাজ্যে। যাদের প্রথম দফার ভোটে ব্যবহার করা হবে। শোনা যাচ্ছে, আরও ১৫০ কোম্পানি বাহিনী পয়লা বৈশাখের আগে-পরে রাজ্যে আসতে পারে। যদিও বিষয়ে আরিজের দাবি, “দিল্লি থেকে কোনও কনফার্মেশন আসেনি।” এই সপ্তাহে ১০০ কোম্পানি, এবং পরবর্তী কালে আরও দেড়শো কোম্পানি বাহিনী এলে মোট ৪২৭ কোম্পানি বাহিনী হবে রাজ্যে। এদিকে প্রথম দফা ভোটে প্রত্যেক বুথে আধাসেনা জওয়ান মোতায়েন করতে ৩৩৬ থেকে ৩৭৮ কোম্পানি বাহিনী প্রয়োজন হবে। যার থেকে সহজেই বোঝা যায় আসন্ন নির্বাচনে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কমিশন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।