নদীয়ার সভায় মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তোপ মমতার। ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছেন তিনি, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। কালবৈশাখী তান্ডবে লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি। মৃত অন্ততপক্ষে ৪, জখম শতাধিক। শোকপ্রকাশ মমতার, জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন অভিষেক। ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে সভা প্রধানমন্ত্রীর। বকেয়ার অঙ্ক সাড়ে ৩ হাজার কোটি। নয়া আয়কর নোটিস পেয়ে আরও চাপে হাত শিবির।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. অসুস্থতা সারিয়ে ভোটের প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার নদিয়ার ধুবুলিয়ায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে প্রচার সারলেন তিনি। শুরুতেই মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিল নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। নেত্রীর কথায়,”লোকসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হত বলে মহুয়াকে টার্গেট করেছে। ভোটে দাঁড়ানোর পর ওর বাবা-মাকেও ছাড়ছে না।” সভা শেষে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “ওদের মুখোশ খুলতে হলে মহুয়াকে আবার জেতাতে হবে।” শুধু যে মহুয়ার সমর্থনে বার্তা দিয়েছেন তা নয়, তাঁর বিপক্ষে থাকা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কেও নিশানা করেন মমতা। পলাশির যুদ্ধে কৃষ্ণনগরের তৎকালীন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ব্রিটিশদের অর্থাৎ লর্ড ক্লাইভের পক্ষ নিয়েছিলেন বলে ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে। সেই কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধেছেন মমতা। একইসঙ্গে এদিনের সভা থেকে সিএএ প্রসঙ্গেও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। ধুবুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবাণী, CAA-তে আবেদন করলেই ৫ বছরের জন্য় বিদেশি। এনআরসির আওতায় পড়বেন। রাজ্যে সিএএ হবে না, আবারও সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা। যদিও বিজেপি এই ইস্যুতে লাগাতার দাবি করেছে, জনসাধারণকে সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল।
2. বাংলায় একা লড়াইয়ের কথা আগেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের সভায় আরও একবার তিনি স্পষ্ট করলেন, বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়ছে তৃণমূল। তবে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও যে তৃণমূলের সম্পর্ক পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি, সেটাও এদিন ইঙ্গিতে বুঝিয়ে গেলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন কৃষ্ণনগরের সভায় মমতা বলেন, “ইন্ডিয়া জোট আমি তৈরি করেছি। নামটাও আমার দেওয়া। ভোটের পর ওটা দেখে নেব।” এর প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের দাবি, ভোটের আগে আসন সমঝোতা না হলেও প্রয়োজনে ভোটের পর যে তিনি ফের ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিতে পারেন, সে ইঙ্গিত এদিন মমতা দিয়ে রাখলেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনই দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সাগরিকা ঘোষ। তাঁরাও সাফ জানিয়ে দিলেন, INDIA জোটে তৃণমূল ছিল, আছে, থাকবে। রবিবার ভোটের আগে কেজরির গ্রেপ্তারিকে ইস্যু করে প্রতিবাদে শামিল হন বিরোধীরা। সেখানেই এই বার্তা তৃণমূল প্রতিনিধিদের। এদিনের সভায় মূলত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ জানায় ইন্ডিয়া জোট। সেখানে বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তেজস্বী যাদব, শরদ পওয়াররা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এই জমায়েত আসলে INDIA জোটের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার রাস্তা মাত্র। তবে সবটাই ভোট পরবর্তী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।