মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা অভিজিতের। প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কলকাতা পুরসভা ও প্রশাসনের দিকেই অভিযোগ প্রাক্তন বিচারপতির। আরও বাড়ল কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজতের মেয়াদ। ইন্ডিয়া জোটে যোগ অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির। আদালতকে প্রভাবিত করার অভিযোগ। ‘স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী’র বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি ৬০০ আইনজীবীর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ‘কুকথা’র জের, দিলীপকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের
আরও শুনুন: 26 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- মুখ্যমন্ত্রীকে কুকথা, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল
বিস্তারিত খবর:
1. ভোটমুখী বঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের অপমান বিজেপির। দিলীপ ঘোষের পর এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমানের অভিযোগ উঠল। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু কামনা করেছেন হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। এই অভিযোগে অভিজিতের প্রার্থীপদ খারিজ করার দাবি নিয়ে কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকারের একটি অংশ টুইট করা হয় তৃনমূলের তরফে। তাতেই তমলুকের বিজেপি প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে হচ্ছে মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে।” তাঁর এহেন মন্তব্যেই তীব্র আপত্তি তৃণমূলের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিক জাতীয় নির্বাচন কমিশন, এমনটাই চাইছে তৃণমূল। তবে নিজের মন্তব্য নিয়ে অভিজিতের সাফাই, “মুখ্যমন্ত্রীকে বলা মানে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে বলা নয়, দলকে বলা।” তাঁর দাবি, মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ফের বেলাগাম মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার কমিশনের উদ্দেশে কুরুচিকর আক্রমণ দিলীপ ঘোষ। এবার নির্বাচন কমিশনকে ‘মেসোমশাই’ বলে সম্বোধন করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুমন্তব্য করার পর তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে দিলীপ ঘোষকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে দলের তরফেও তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
2. গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল বির্পযয়ের পর নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা। আলোচনার কেন্দ্রে বেআইনি নির্মাণ। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় প্রশাসন ও মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়েও। সেই সময় তাঁকে কার্যত ‘নিরস্ত্র’ করতে ফোন আসে কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কথা হয় দু’জনের। জানা গিয়েছে এদিন মেয়র তাঁকে বলেছেন, বেআইনি বাড়ি হয়েছে বাম আমলে। উত্তরে প্রাক্তন বিচারপতি তাঁকে বলেন, “তাহলে সেগুলি ভেঙে দেননি কেন?” এই নিয়ে তাঁদের বেশকিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের। তবে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন বিচারপতি। অশোকবাবু জানান, সাংবাদিক বৈঠকের মাঝে এর আগে এরকম হয়নি। সরকারি উঁচু পদে থাকা কেউ তাঁকে এইভাবে ফোন করেননি। এদিকে, ভেঙে পড়া বহুতলের প্রভাবে পাশে একটি বাড়ি হেলে পড়েছে। সেই বাড়ি ভাঙা শুরু হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এখন যেখানে বাড়ি ভাঙা হচ্ছে সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।