মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুমন্তব্য। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের নামে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের। জেলাশাসকের রিপোর্ট তলব কমিশনের। সন্দেশখালির পোস্টার বিতর্কে নাটকীয় মোড়। ক্ষমা চাইলেন গ্রামের মহিলারা। বিজেপি প্রার্থী রেখাকে ফোন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদির। কপালের চোট সারিয়ে সুস্থ মুখ্যমন্ত্রী। চলতি সপ্তাহেই কৃষ্ণনগরে সভা মমতার। আরও এক দফা প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির। ইডেনে কেকেআরের লড়াইয়ের দিন যুবভারতীতে খেলা নয়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 24 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- লোকসভার আগে বাড়িতে CBI তল্লাশি, নির্বাচন কমিশনে নালিশ মহুয়ার
আরও শুনুন: 25 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বঙ্গে রঙিন ভোটপ্রচার, তবে অশান্ত সেই ভাঙড়
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভা ভোটের আগে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপরিচয় নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কমিশনে চিঠি দেয় তৃণমূল। শুধু তাই নয় বিজেপি নেতার নামে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, বুধবার তৃণমূলের দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল যাবে কমিশনে।
এই নিয়ে দিলীপ ঘোষকে একহাত নিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ, কীর্তি আজাদরা। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “ওঁর নিজের দল মেদিনীপুর থেকে বের করে দিয়েছে। তাই মানসিক হতাশায় উনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে নেমেছেন।” এদিকে দিলীপ ঘোষের ‘কুমন্তব্য’ নিয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে কমিশনের তরফে। একইসঙ্গে এদিন বর্ধমানে প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ। তাঁকে ঘিরে গোব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। এদিনই পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এর পর প্রচারে বের হতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে বেশ কিছুক্ষণ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জেলাশাসকের কাছে পুরো বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চাইল কমিশন।
২। সন্দেশখালি থেকে রেখা পাত্র প্রার্থী হতেই দুইভাগে আড়াআড়ি ভাগ গিয়েছিলেন সন্দেশখালির মানুষ। রেখার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে এলাকায়। ক্ষোভ প্রকাশ করেন একদল। যদিও রাত পেরোতেই সেই ছবি বদলায়। বিক্ষুব্ধরা দাবি করেন, তাঁদের গোটা বিষয়টা নিয়ে ভুল বোঝানো হয়েছিল। যার জেরেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সোমবার গ্রামের যেসব মানুষ বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন, তাঁরাই মঙ্গলবার সকালে করজোড়ে রেখা পাত্রর কাছে ক্ষমা চেয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের লোকজন জোর করে ওই কাজ করিয়েছিল। এদিন বিজেপি প্রার্থী রেখার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তাঁরা। এসবের মাঝেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখার। বাংলায় সন্দেশখালির প্রতিবাদী এই মহিলার সঙ্গে বাংলায় কথা বলেন মোদি। শুভেচ্ছা জানানোর পরই সন্দেশখালির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন তিনি। প্রায় ১৫ মিনিটের কথোপকথনে ওঠে সন্দেশখালির বিক্ষোভ প্রসঙ্গ। সেখানেই রেখা জানান, প্রথম দিকে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে এখন সবাই তাঁকে চাইছেন। মোদিকে রেখা জানান, গত ২০১১ সালের পর তাঁরা আর ভোট দিতে পারেননি। সেই সঙ্গে ওঠে নারী নির্যাতনের কথাও। এদিন প্রচার নিয়েও কথা হয় দুজনের। সমস্ত বিষয় জানার পর মোদি রেখাকে পরামর্শ দেন সকলের পাশে থাকার। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে রেখা কীভাবে প্রচার করবেন তা নিয়েও মোদি কথা বলেছেন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।