CAA মামলায় কেন্দ্রকে সুপ্রিম নোটিস। ডেডলাইন বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। এখনই সিএএ কার্যকরের নির্দেশে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ নয়। গার্ডেনরিচ কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। দুর্ঘটনার দায় মানলেন ফিরহাদ, আক্ষেপ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে। ফের রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল। নতুন ডিজি আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে চিঠি তৃণমূলের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- অভিষেকের বিরুদ্ধেই লড়তে চাই, ভোট ঘোষণার পর হুঙ্কার নওশাদের
বিস্তারিত খবর:
1. CAA মামলায় কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পরই এর উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে বেঁধে দেওয়া হল ডেডলাইনও। সোমবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার বিজ্ঞপ্তি সামনে এলেই দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। আইন কার্যকর করার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক, সেই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিল কেরলের মুসলিম সংগঠন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ। এছাড়াও মামলা দায়ের করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ও তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। জানা গিয়েছে, সবমিলিয়ে মোট ২৩৭টি মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে।মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে যার শুনানি শুরু হয়েছে। আর সেখানেই কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রকে জবাব দিতে হবে। তার পরের দিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতিদের বেঞ্চ। তবে আবেদনকারীদের দাবি মেনে এখনই সিএএ কার্যকরের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
2. গার্ডেনরিচ কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। আশঙ্কা করা হচ্ছে কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছেন। ভোটের বাজারে এই দুর্ঘটনাকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে কার্যত দুর্ঘটনায় দায় মেনে নিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকদের কাঠগড়ায় তুলে আক্ষেপের সুরে বললেন, “বেআইনি নির্মাণ সামাজিক ব্যাধি, নির্মূল করতে পারছি না।” যদিও দুর্ঘটনার দায় বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের ঘাড়েই চাপালেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় ৮০০ বাড়ি ভাঙা হয়েছে। তার মধ্যে ২৫ টি গার্ডেনরিচের। তবে এই ঘটনায় কাউন্সিলরের দায় তো আছেই। কিন্তু বেআইনি নির্মাণ দেখার দায় বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের।” এদিকে, গার্ডেনরিচ কাণ্ডে নাম না করে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই নিশানা করেছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তাঁর কথায়, “যিনি চেয়ারে বসেন, নিয়ন্ত্রণের দায় তাঁর।” স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে ধৃত প্রোমোটারের সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে গোটা ঘটনার দায় মেয়রের ঘাড়ে চাপিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রসে সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। ফিরহাদকে গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে সরাসরি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। মঙ্গলবার মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন পাওয়ার পরই দায়ের হল মামলা। মামলার শুনানি হতে পারে ২১ মার্চ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।