রাত পোহালেই তৃণমূলের ব্রিগেড। জনগর্জন সভার প্রস্ততি খতিয়ে দেখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জল্পনা প্রার্থী ঘোষণা নিয়েও। উত্তরের প্রথম সভায় বাংলায় ভাষণ শুরু মোদির। শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে চা শ্রমিকদের জানালেন প্রণাম। দুর্নীতি অস্ত্রে কড়া আক্রমণ তৃণমূলকে। ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, সাফ ঘোষণা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। দুর্নীতি ইস্যুতে কড়া তোপ, মোদির মঞ্চ থেকে লড়াইয়ের ডাক প্রাক্তন বিচারপতির। প্রকাশ্যে গঙ্গার তলায় মেট্রো শুরুর দিনক্ষণ। একইসঙ্গে শুরু রুবি-নিউ গড়িয়া ও জোকা-মাঝেরহাট পরিষেবা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ইডি হানার দিন তৃণমূল বিধায়ককে ফোন শাহজাহানের, দাবি CBI-এর
আরও শুনুন: 7 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- আদালত ছেড়ে বিজেপিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, খোলা চ্যালেঞ্জ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. রাত পোহালেই তৃণমূলের ব্রিগেড। শনিবার ব্রিগেডে পৌঁছে সভা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হাতে ম্যাপ নিয়ে মঞ্চের সব দিক, জমায়েতের জায়গা সবকিছু ভালোভাবে পরখ করে নেন অভিষেক। এই সভা থেকেই তৃণমূল আনুষ্ঠানিকভাবে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়াও ভিনরাজ্য থেকে দলের নেতারাও আসবেন ব্রিগেডের মঞ্চে। এমনকি এই মঞ্চেই নজিরবিহীনভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোনা যাচ্ছে এমন কথাও। সব মিলিয়ে তৃণমূলের ব্রিগেডের মেগা সমাবেশের দিকে নজর সব মহলের।
এদিকে ব্রিগেডের আগে বিজেপি বিরোধী বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করল তৃণমূল। ভিডিওতে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে ব্রিটিশ অত্যাচারী শাসকের সঙ্গে তুলনা করেছে ঘাসফুল শিবির। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সেই অ্যানিমেশন ভিডিওয়র প্রতি দৃশ্যে বিজেপির একাধিক নেতিবাচক কার্যকলাপ তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের বার্তা, রবিবারের ‘জনগর্জন সভা’ থেকে তারই বিরুদ্ধে গর্জন করবে বাংলার আমজনতা।
2. ভোটমুখী বঙ্গে তৃতীয়বার প্রচারে এসে ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অস্ত্রে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শিলিগুড়ির কাওয়াখালির রাজনৈতিক সভা মঞ্চে শুরুতেই বাংলায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে চা বলয়ে চা-আবেগকেও উসকে দিয়ে বললেন, “চা শ্রমিকদের চাওয়ালার নমস্কার।” এরপরই দুর্নীতি ইস্যুতে বাংলার শাসকদলকে একহাত নেন মোদি। তাঁর তোপ, “বিনামূল্যে দেশবাসীকে রেশন দিচ্ছে কেন্দ্র। অথচ এই বঙ্গে রেশন দুর্নীতিতেই জেলে খাদ্যমন্ত্রী।” মোদির দাবি, শুধু রেশনই নয়, শিক্ষা-সহ নানা দুর্নীতিতেই তৃণমূল বুঝিয়েছে, তারা গরিব বিরোধী। মোদির আরও অভিযোগ, সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আসে বাংলায়, কিন্তু তা ‘তোলাবাজ’দের পকেটে ঢোকে। অথচ রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব। এসব ঘটনা বাংলার গরিমা খর্ব করেছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। এমনিতেই বাংলায় তৃণমূল বিরোধী আক্রমণ শানাতে বার বার ‘দুর্নীতি’ অস্ত্র তুলে নিয়েছে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার সেই অস্ত্রে ভর দিয়েই ভোটের আগে পদ্মের জোর বাড়াতে চাইলেন নরেন্দ্র মোদি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।