আদালত ছেড়ে রাজনীতিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফুল ছড়িয়ে বরণ গেরুয়া শিবিরের। ভোট ময়দানে খোলা চ্যালেঞ্জ মমতার।মোদির পর মমতার সভায় সন্দেশখালির মহিলারা। তৃণমূলে যোগ বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি আধিকারী। জটিলতা শেষে গৃহীত তাপস রায়ের ইস্তফাপত্র। NDA-তে ফিরছেন নবীন পট্টনায়ক, তুঙ্গে জল্পনা। কাশ্মীর থেকে কংগ্রেসকে তোপ প্রধানমন্ত্রী মোদির। রুজিরার মামলায় মুখ পুড়ল ইডির।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ, টানাপোড়েন শেষে শাহজাহানকে হেফাজতে পেল CBI
আরও শুনুন: 5 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বিজেপিতেই যোগ, তৃণমূলকে তোপ দেগে ঘোষণা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
বিস্তারিত খবর:
1. আইনের দরবার ছেড়ে এবার রাজনীতির ময়দানে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবিরের পতাকা তুলে নিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। যদিও লোকসভা ভোটে কোন আসন থেকে তিনি লড়াই করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিন সল্টলেকের বিজেপি সদর দপ্তরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারদের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ। রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই অভিজিৎ বলেন, “দলের শৃঙ্খলবদ্ধ সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। যে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা পালন করব।” তিনি আরও বলেন, “লোকসভায় বাংলার দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের পতন হবে। বাংলার মানুষের জন্য বিজেপির ক্ষমতায় আসা দরকার।” যদিও এর পালটা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্য জনসভা থেকে নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নেত্রীর চ্যালেঞ্জ, “যেখানেই দাঁড়াবেন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাব, ওরাই লড়াই করবে।” মুমতা আরও বলেন, “বিজেপি যা বলেছে, উনি তাই করেছেন। কী সব রায় দিয়েছে! তবে আমি খুশি যে মুখোশটা খুলে গিয়েছে।” সবমিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে ‘বিচারকে’র রাজনীতি ঘিরে লড়াই জমজমাট।
2. সন্দেশখালি ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার বিজেপির পালটা হিসেবে মমতার সভায় সন্দেশখালির মহিলারা। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির সাবিত্রী সরকার-সহ বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির সমস্যা মেটায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই মহিলারা। এরপরই নাম না করে মমতার কটাক্ষ, “কালকে একজন এসে সন্দেশখালি নিয়ে অনেক কিছু বলে গেলেন। কিন্তু ভুল সন্দেশ দিলেন। কয়েকটা ঘটনা হতেই পারে। হতে পারে সব খবর আমরা পাই না। অন্যায় হয়ে থাকলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিই। তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করতেও পিছপা হই না।” একইসঙ্গে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা আরও বলেন, “কত জায়গায় বিজেপির নেতাদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছেন মা-বোনেরা। তাঁরা ভয়ে কিছু বলতে পারেন না। কিন্তু বাংলার মেয়েরা কথা বলতে জানে।” এ প্রসঙ্গে বাংলাকে নিরাপদতম রাজ্য এবং কলকাতাকে নিরাপদতম শহর বলেও উল্লেখ করেন মমতা। এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে নাটকীয় দলবদল। বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। এদিন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের মিছিলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে হাঁটতে দেখা যায় তাঁকে। তার পরই অভিষেকের হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন তিনি। পরে ধর্মতলার মঞ্চে শশী পাঁজার হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন শাসক শিবিরে। মনে করা হচ্ছে, গেরুয়া শিবির থেকে লোকসভা ভোটের টিকিট না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েই শিবির বদল করেছেন তিনি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।