মোদি বারাণসীতেই। হুগলিতে লকেট, দেবের বিরুদ্ধে হিরণ। ভোটের দিন ঘোষণার আগে ১৯৫ আসনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ বিজেপির। কৃষ্ণনগরেও সন্দেশখালি বাণ প্রধানমন্ত্রীর। মহুয়ায় রইলেন চুপ, মিলল না CAA বার্তাও। ভুয়ো জবকার্ড নিয়ে তৃণমূলকে তোপ মোদির। তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই জলপাইগুড়িতে মোদির সভার জল্পনা। রাজ্যজুড়ে মেগা জনসভার ডাক অভিষেকের। লাগাতার জেরার মুখে ভাঙলেন শাহজাহান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বঙ্গসফরে সন্দেশখালি নিয়ে সরব মোদি, প্রোটোকল মেনে সাক্ষাৎ মমতার
আরও শুনুন: 29 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ, শাহজাহানকে সাসপেন্ড তৃণমূলের
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। প্রথম দফায় ১৬ রাজ্য এবং ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৯৫ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। ১৯৫ আসনের মধ্যে তফসিলি জাতির প্রার্থী ২৭ জন। তফসিলি উপজাতির প্রার্থী ১৮ জন। ওবিসি প্রার্থীর সংখ্যা ৫৭। প্রত্যাশিতভাবে বারাণসী থেকেই লড়বেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুরনো কেন্দ্রেই থাকছেন অমিত শাহ।
শনিবার বিজেপি দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হল, গত ২ বারের চেয়েও বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এবার ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। বিজেপি একাই ৩৭০, এনডিএ ৪০০-এই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই এত আগে থেকে প্রার্থী ঘোষণা। মোট ৩৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। থাকছেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং লোকসভার স্পিকারকে। মোদি-শাহদের পাশাপাশি পুরুষোত্তম রূপালা, কিরেণ রিজিজুদের মতো মন্ত্রীরাও প্রার্থী হবেন। মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরকে লড়তে হবে শশী থারুরের বিরুদ্ধে। লোকসভার ময়দানে নামছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, স্পিকার ওম বিড়লাও। স্মৃতি ইরানি লড়বেন আমেঠি থেকেই। সেখানে রাহুল গান্ধীর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলার ২০ প্রার্থীও। উল্লেখযোগ্য নাম হিসেবে লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমেন্দু অধিকারী এবং হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। লকেট থাকছেন হুগলিতেই, সৌমেন্দু কাঁথি, এবং হিরন্ময় ওরফে অভিনেতা হিরণ লড়বেন ঘাটাল থেকে তৃণমূলের তারকা নেতা দেবের বিরুদ্ধে।
2. বঙ্গসফরের দ্বিতীয়দিনে কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী। এদিনও সন্দেশখালি ইস্যুতেই সরব হতে শোনা গেল তাঁকে। সেইসঙ্গে আরও একবার বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন মোদি। তবে আশ্চর্যভাবে এদিন মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী। এমনকি বার্তা মিলল না CAA ইস্যুতেও।
এদিন কৃষ্ণনগরের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার কোটির প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের শুরুতেই এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কৃষ্ণনাম করতে শোনা যায় মোদিকে। চৈতন্যভূমে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পরম প্রচারক বলে দাবি করেন মোদি। এরপরই একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ দাগেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “তৃণমূল মানে তু, ম্যায় আউর কোরাপশান”। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, যার জন্ম হয়নি তার নামেও জব কার্ড তৈরি হয়েছে। ২৫ লক্ষ ভুয়ো কার্ড বানানো হয়েছে বাংলায়। তবে এদিনের সভায় শুভেন্দু-সুকান্তরা মহুয়া মৈত্রকে তুলোধোনা করলেও মৌন রইলেন নমো। এমনকি CAA ইস্যুতেও কোনও বার্তা দেননি মোদি। কল্যাণী AIMS বিতর্কে সরাসরি শাসক দলকে তোপ দাগেন মোদি। তাঁর দাবি, বাংলায় AIIMS তৈরি হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে রাজ্য সরকারের। তাই অনুমতি নিয়ে এত বিতর্ক। সবশেষে আরও একবার ৪২ এর ৪২ টি আসন দখলের কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।