অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা, বন্ধ ইন্টারনেট। সাসপেন্ড শাহজাহান-অনুগামী উত্তম। রাজভবনে শুভেন্দুরা, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের। লোকসভার আবহে ফের সিএএ অস্ত্রে শান অমিত শাহের। ভোটের আগেই লাগু হবে নাগরিকত্ব আইন। দেবের রাজনীতি ছাড়ার জল্পনায় ইতি।লোকসভার মুখে ইপিএফে বাড়ল সুদের হার। লোকসভার শেষদিনে প্রধানমন্ত্রীর মুখে ‘রামনাম’। অসুস্থ হয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি মিঠুন চক্রবর্তী।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যসভায় শনিবারই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! তুঙ্গে জল্পনা
আরও শুনুন: 8 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী, বাজেটে একগুচ্ছ বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা। বসিরহাটের মহকুমা শাসকের নির্দেশে সন্দেশখালি থানা এলাকার আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ দোকানপাট, শুনশান রাস্তাঘাট। অশান্তির আশঙ্কায় ত্রস্ত স্থানীয়রা। এদিকে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানো-সহ একাধিক অভিযোগের জেরে শেখ শাহজাহানের অনুগামী, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সর্দারকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ, শনিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের ধরনামঞ্চ থেকে ঘোষণা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের। যদিও শেখ শাহজাহানের মতোই, আপাতত পলাতক উত্তমও।
অন্যদিকে শনিবার সন্দেশখালি থানায় যাওয়ার পথে রামপুরে বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা দেয় পুলিশ। তবে পরিষদীয় দলকে নিয়ে রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালকে কার্যত ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে তিনি বলেন, রবিবারের মধ্যে এলাকায় গিয়ে ১৪৪ ধারা তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। সোমবার বিজেপির তরফে তাঁরা সন্দেশখালি অভিযান করবেন বলেও হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর। আর এরপরই কেরল থেকে ইমেল করে নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
2. লোকসভা ভোটের আগে আরও একবার সিএএ অস্ত্রে শান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। নির্বাচনের আগেই লাগু হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, দিল্লির গ্লোবাল বিজনেস সামিটে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা শাহের। তিনি বলেন, “কংগ্রেসই শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। এখন তারা অন্য কথা বলছে।” অমিত শাহের আশ্বাস, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা নিপীড়িত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে এই আইন।
দিল্লিতে দ্বিতীয় মোদি সরকার গঠনের পরই ২০১৯ সালে এই আইন পাশ করানো হয়। সেই সময় থেকেই সিএএ ইস্যু নিয়ে চাপানউতোর চলছেই রাজনৈতিক মহলে। প্রথম থেকেই এই ইস্যুতে বিরোধিতার সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যের পালটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, লোকসভা ভোটের জন্য CAA অস্ত্রে শান দিচ্ছে বিজেপি। এবার অমিত শাহের মন্তব্যে আরও ঘোরালো হল জল্পনা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।