ছাপোষা চকোলেট! তবে তা নেহাত বাচ্চাদের জিনিস হয়ে না থেকে, হয়ে উঠতে পারে বড়দেরও আগ্রহের বস্তু। এমনকী বাড়িয়ে তুলতে পারে যৌন উত্তেজনাও। কীভাবে? আসুন, শুনেই নেওয়া যাক।
যৌনতার ঢিমে আঁচে অক্সিজেন জোগাতে পারে চকোলেট। মিঠে স্বাদের মৌতাতে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে আরও রঙিন। চকোলেটের গুণে আকাশছোঁয়া হতে পারে যৌন-আকাঙ্ক্ষা। শর্ত একটাই, যৌনতার খানিকটা আগেই মেতে উঠতে হবে এই চকোলেট-উৎসবে। সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে চকোলেট খেলেই মৌন যৌনতায় নাকি আসবে জোয়ার।
আরও শুনুন: যৌনতাই ওষুধ… সপ্তাহে কবার মিলনে ভালো থাকে শরীর মন, জানেন?
কিন্তু কথা হল, যে কোনও চকোলেটেরই কি আছে এই বিশেষ গুণ? নিশ্চিত নয়। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় আবার সাড়া ফেলেছে ‘সেক্স চকোলেট’। যা কিনা জাগিয়ে তুলতে পারে যৌন ইচ্ছা। বিশেষ মুহূর্তের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই চকোলেট। সাধারণ ভাবে প্রকৃতিতেই এমন অনেক জিনিস পাওয়া যায়, যা যৌন ইচ্ছা জাগিয়ে তুলতে পারে। তবে,আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক আছে, যা কিনা যৌনতৃষ্ণার সহায়ক। বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গিয়েছে। এই ধরনের উপাদান আমাদের মস্তিষ্ককে রিল্যাক্স করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। আবার যৌনতার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ শরীরের এমন রাসায়নিক ক্ষরণেও সাহায্য করে। জানা যাচ্ছে, যে বিশেষ চকোলেটটি বাজারে আলোড়ন তুলেছে, তা এই ধরনের উপাদানেই তৈরি। সেই সঙ্গে প্রাচীন কাল থেকে যৌনতাবর্ধক বেশ কিছু উপাদানও আছে তাতে। ফলত, সব মিলিয়ে নামে আর স্বাদে চকোলেট হলেও আদতে তা একরকম ওষুধেরই কাজ করছে বলা যায়। নেটদুনিয়ায় এখন এই চকোলেটের চাহিদা তুঙ্গে। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই এই ধরনের চকোলেটের জনপ্রিয়তা বাড়ছিল। তবে সম্প্রতি তা আবারও আলোড়ন তুলেছে। এই বিশেষ চকোলেট ভাগাভাগি করে খেতে পারেন সঙ্গীরা। সেরকম অনুপাতেই ভাগ করা আছে চকোলেটের যৌনতাবর্ধক উপাদান।
আরও শুনুন: বিয়ের পরেও সঙ্গী হস্তমৈথুন, যৌন অতৃপ্তি নাকি নেপথ্যে অন্য কারণ?
তবে, এই চকোলেট কি আদৌ কার্যকরী? নাকি নেহাতই বুজরুকি! অনেকের মনেই এই সন্দেহ। নেটদুনিয়ায় ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানাচ্ছে, চকোলেট নেহাত ফেলনা। সত্যিই তা কাজের হয়ে উঠেছে। তবে, মানুষের শরীরের গঠন আর প্রকৃতি ভিন্ন। তাই সমান অংশের চকোলেট খেয়ে সকলের যে সমান উদ্দীপনা জাগবে, এমনটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবু, প্রেমের মরশুমে চকোলেটের স্বাদে যদি যৌনতার স্বাদও বাড়ে, তাই-ই বা মন্দ কী!