গোমাতা হিসাবে যার পূজা করা হয়, এবার সেই গরুকেই নতুন নামে ডাকতে চাইছেন সন্ন্যাসীরা। সেখানে যেমন থাকবে মাতা অর্থাৎ মায়ের ছোঁয়া, তেমনই থাকবে রাষ্ট্রের অনুষঙ্গও। কী সেই বিশেষ নাম? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
‘মাদার অফ নেশন’ অর্থাৎ রাষ্ট্রমাতা বা জাতির জননীর অভিধা দেওয়া হোক গোমাতাকে। মাঘ মেলায় জমায়েত হয়ে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন সন্ন্যাসীরা। সর্বসম্মতিক্রমে আরও একটি দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, গোমাতার জন্য একটি নতুন নামও এবার নির্ধারিত হোক।
আরও শুনুন: বাস্তবের দাতা কর্ণ! ৮২৯৭৩৪ কোটি টাকা দানের নজির বিশ্বে গড়েছেন একজন ভারতীয়ই
চলতি বছরের মাঘ মেলা শুরু হয়েছে গত মকর সংক্রান্তিতে। ৫৪ দিনের এই মেলা চলবে আগামী শিবরাত্রি পর্যন্ত। এই মেলাতেই গোমাতা সংক্রান্ত বিশেষ আলোচনা হয়। সন্ন্যাসীরা সেখানে ঠিক করেছেন যে, গোমাতার নতুন নাম হোক ‘রামা’। শংকরাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী এই নামের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রমাতার ধারণা থেকেই তৈরি হয়েছে এই নতুন নাম। রাষ্ট্রের থেকে ‘রা’ অক্ষরটি নেওয়া হয়েছে, আর মাতার ‘মা’ অক্ষর জুড়ে তৈরি হয়েছে এই নতুন নাম- ‘রামা’। তাঁরা যে দাবি তুলেছেন, এই নতুন নামের মধ্যেই সেই ব্যাপ্তি রয়েছে। আর তাই সন্ন্যাসীরা ঠিক করেছেন, এই নামেই আগামীতে গোমাতাকে সম্বোধন করবেন তাঁরা। গোমাতাকে নিয়ে নিজেদের একাধিক দাবিতে অনড় সন্ন্যাসীরা এবং চলতি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এই প্রস্তাব আরও জোরাল ভাবেই পেশ করতে চলেছেন তাঁরা। মূলত সরকারের কাছেই তাঁদের এই দাবি। সন্ন্যাসীদের বক্তব্য হল, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করুক সরকার। এবং গরুর জন্য আলাদা একটি মন্ত্রক তৈরি করা হোক। পাশাপাশি ‘রাষ্ট্রীয় রামা ভক্ত গৌ আয়োগ’ প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা করছেন তাঁরা। যে প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সমস্ত গরুকে চিহ্নিত করা হবে, এবং এক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্টিং পদ্ধতিরও সাহায্য নেওয়া হতে পারে।
আরও শুনুন: শীত কাটলেও স্নানে ভয়! প্রতি মাসে মোটা টাকা রোজগারের সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে না তো?
প্রায় ২১ দফা প্রস্তাব নিয়ে সরব সন্ন্যাসীরা। গরুর জাতীয় তকমা, নামকরণ তো আছেই। এ ছাড়া ‘গোশালা’ শব্দের বদলে ‘গোধাম’ শব্দটি ব্যবহারের পক্ষপাতী তাঁরা। সেই সঙ্গে গরুর দুধ যাতে মিড-ডে মিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, এমন প্রস্তাবও এনেছেন তাঁরা। গোহত্যাকারীর জন্য মৃত্যুদণ্ডের সাজা থাকা উচিত বলেও মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের এই সব দাবি সরকারের তরফে মেনে নেওয়া হবে কি-না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তবে, মাঘ মেলাকে উপলক্ষ্য করেই নিজেদের প্রস্তাব সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর সন্ন্যাসীরা।