শীতকালে স্নানের নামে গায়ে জ্বর আসে অনেকেরই। এমনকি শীত চলে যাওয়ার সময়টাতেও অনেকেই গায়ে জল ঢালতে খুব একটা পছন্দ করেন না। কিন্তু জানেন কি, অভ্যাসের জন্য হাতছাড়া হতে পারে মোটা টাকা রোজগার! কীভাবে? আসুন শুনে নিই।
কথায় আছে, ফেলো কড়ি মাখো তেল। অর্থাৎ, বিনামূল্যে কোনও কাজ হয় না। কিন্তু এই সংস্থার কল্যাণে প্রায় কিছু না করেই রোজগার হতে পারে মোটা টাকা। কাজ বলতে স্রেফ স্নান করা। ভাবছেন তো, এ আর এমন কি! বরং ঠিকমতো স্নান করলে তো বেজায় আরাম মেলে। তাহলে, ঠিক কোন শর্তে স্নান করার জন্য টাকা দিচ্ছে ওই সংস্থা?
আরও শুনুন: শীতের ঠেলায় গরম জলেই স্নান, যৌনতায় মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
তাহলে খুলেই বলি। আসলে, এই ঘোষণা করেছে জনপ্রিয় বাথরুম সাপ্লায়ার সংস্থা। স্নানঘরের নানা খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে গোটা বাথরুম তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব নেয় এই সংস্থা। তবে এক্ষেত্রে বাথরুম বলতে সাধারণ স্নানঘর নয়। একেবারে ঝাঁ চকচকে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা যুক্ত স্নানঘর। এমনকি, সুইচ টিপলে জল পড়বে এমন ব্যবস্থাও করে দিতে পারে এই সংস্থা। সম্প্রতি, তাঁরা নতুন এক পদের ঘোষণা করেছে। যার পোশাকি নাম, ‘বাথরুম টেস্টার’। সাধারণত বিলেতে যে কোনও কাজের হিসাব হয় ঘণ্টার ভিত্তিতে। এক্ষেত্রেও এক ঘণ্টা বাথরুমে কাটালে মিলবে টাকা। তবে সেই পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় মধ্যবিত্তের একমাসের সংসার খরচের থেকেও অনেকটাই বেশি। সংস্থার দাবি, ঠিকমতো বাথরুম টেস্টারের কাজ করলে, প্রতি মাসে অন্তত ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কী করতে হবে?
আরও শুনুন: সার্ভাইক্যাল ক্যানসারে মৃত্যু পুনম পাণ্ডের, মারণ-রোগ হয়েছে বুঝবেন কী করে?
স্নান ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। তবে সেই স্নান করতে হবে সংস্থার তৈরি করা নতুন বাথরুমে। ব্যবহার করতে হবে তাদের প্রোডাক্ট। তারপর জানাতে হবে স্নানের অভিজ্ঞতা। আসলে, যে কোনও জিনিসই এইভাবে টেস্ট করিয়ে তারপর বিক্রি করার বাজারি নিয়ম রয়েছে। তাই চা থেকে শুরু করে কন্ডোম, সবকিছুর টেস্টার হিসেবেই চাকরি মিলতে পারে। তাই বাথরুম টেস্টারের কাজ শুনেও বিশেষ অবাক হননি কেউই। টাকা রোজগার তো হবেই, সেইসঙ্গে বিলাসবহুল স্নানঘরে সময় কাটানোর সুযোগও মিলবে। শুধু তাই নয়, স্নানের সময় চাইলেই পছন্দের ওয়েব সিরিজ দেখা বা টুকটাক মুখে চালানো এইসবও করার অনুমতি রয়েছে। সেই ব্যবস্থা করে দেবে ওই সংস্থাই। ৎবে চাইলেই যে কেউ এই সুযোগ পাবে না। তার জন্য মানতে হবে সামান্য কিছু শর্ত। প্রথমত, আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮-র বেশি। সেইসঙ্গে স্নানের অভিজ্ঞতা ভাগ করার কাজে বেশ দক্ষতা থাকতে হবে। মানে ঠিক কেন, এই বাথরুমে স্নান করতে ভালো লেগেছে, বা কেন ভালো লাগেনি, তা গুছিয়ে উত্তর দিতে হবে। তার জন্য, আবেদনকারীদের বিশেষ ইন্টারভিউও নেবে ওই সংস্থা। সেখানে একবার পাস করতে পারলেই কেল্লাফতে। স্নানের অভিজ্ঞতা ভাগ করেই রোজগার হবে মোটা টাকা।