দেশে হয়তো বৌদ্ধধর্মের প্রভাব বাড়বে ফের। আর তার জন্য দায়ী থাকবে হিন্দুরাই। সম্প্রতি এমনই ইঙ্গিত করলেন ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। হঠাৎ কেন এমন কথা বললেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আবহে দেশজুড়ে হিন্দুত্ববাদের জোয়ার। কিন্তু সেই সময়ে দাঁড়িয়েই হিন্দু নয়, দেশে অন্য এক ধর্মের প্রভাব বাড়ার ইঙ্গিত দিলেন এক নেতা। তাঁর ধারণা, বাবাসাহেব আম্বেদকর যেমন হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্মের আশ্রয় নিয়েছিলেন, একইভাবে ভবিষ্যতে সে পথে হাঁটার কথাই হয়তো ভাববেন এ দেশের আরও অনেক মানুষ। একইসঙ্গে তিনি এ কথাও বুঝিয়ে দিলেন যে, সেই পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে হিন্দুরাই। অর্থাৎ হিন্দুদের আচরণের কারণেই ফের বাড়তে পারে ধর্মান্তরের প্রবণতা, ঘুরিয়ে এমনই ইঙ্গিত করলেন ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
-: আরও শুনুন :-
কাশী-মথুরা মুক্ত হলে আর মসজিদ চাইবে না হিন্দুরা, দাবি ধর্মগুরুর
জমি দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন হেমন্ত। গ্রেপ্তারির পর মুখ্যমন্ত্রী পদেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি, বরং আপাতত ইডি হেফাজতেই দিন কাটছে জেএমএম নেতার। আসলে আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্তা করতেই গ্রেপ্তারি, এই মর্মে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সুর চড়িয়েছে হেমন্তের দল। একই কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার ইডি হেফাজত থেকে সেই সুরেই কথা বললেন হেমন্ত নিজেও। তিনি সাফ জানালেন, আসলে আদিবাসী-দলিতদের সমানাধিকার দিতে নারাজ বিজেপি। আর সে কারণেই এই ষড়যন্ত্র। নেতার অভিযোগ, বিজেপি এমন কথা বলতেও কুণ্ঠিত হয় না যে আদিবাসীরা জঙ্গল থেকে এসেছে, তাই জঙ্গলেই থাকা উচিত তাদের। সুতরাং এই পরিস্থিতির জন্য চোখের জল ফেলবেন না তিনি। কারণ এ দেশে আদিবাসী, দলিত কিংবা অন্যান্য প্রান্তিক মানুষদের চোখের জলের কোনও দাম নেই।
-: আরও শুনুন :-
অযোধ্যা লতা মঙ্গেশকরেরও, ৪০ ফুটের বীণায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাম-ই
আর এরপরই দলিত ও প্রান্তিকদের সমানাধিকার দেওয়ার জন্য বাবাসাহেবের লড়াইয়ের কথা মনে করেছেন হেমন্ত। সে প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব ভেদ মুছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন আম্বেদকর। কিন্তু সকলকে একসঙ্গে করার জন্য তাঁকেও বৌদ্ধ ধর্মের আশ্রয় নিতে হয়েছিল। হয়তো আদিবাসী ও দলিতদের জন্য এ দেশে এমন ভবিষ্যৎই অপেক্ষা করছে। অর্থাৎ, বিজেপি শিবির দলিত আদিবাসীদের উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ধর্মান্তরিত হতে পারেন প্রান্তিক মানুষেরা, ঘুরিয়ে এমনই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন হেমন্ত সোরেন।