ভারতে থাকলে, যিশুকে ক্রশবিদ্ধ হতে হত না। এমনই দাবি জনপ্রিয় সংঘনেতার। শুধু তাই নয়, হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গে সংঘ সম্পর্কে বিশেষ মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে। ঠিক কী বলেছেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
একতার মধ্যে বৈচিত্র। ভারতের সম্পর্কে উপমা বারে বারে উঠে আসে অনেকের কথায়। লেখক সাহিত্যিক তো বটেই, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও হামেশাই এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করে থাকেন। সম্প্রতি জনপ্রিয় সংঘনেতার কথাতে ফিরে এল সেই প্রসঙ্গ। আর এক্ষেত্রে ঠিক কীভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সবকিছুতে ভারত আলাদা তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: তাজমহলে পালিত হবে না শাহজাহানের মৃত্যুদিন, দাবি তুলে মামলা হিন্দু মহাসভার
কথা বলছি, আরএসএস নেতা মনমোহন বৈদ্য সম্পর্কে। সম্প্রতি, জয়পুর সাহিত্য উৎসবের মঞ্চ থেকে এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বক্তব্যের শুরুতেই তাঁর বিস্ফোরক দাবি, যিশুখ্রিস্ট ভারতে থাকলে ক্রুশবিদ্ধ হতেন না। আর এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে মূলত, ভারতীয় সংস্কৃতির কথায় উল্লেখ করেছেন মনমোহন। ইতিহাসের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ভারত থেকে কতশত বিদ্যান মানুষ বিদেশে গিয়েছেন। তাঁদের কেউই কোথাও উপনিবেশ গড়ার কথা ভাবেননি। শুধু তাই নয়, কাউকে ধর্মান্তর করার চেষ্টাও করেনি। এদিকে ইউরোপীয় দেশগুলির ক্ষেত্রে এইসবের ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে, ইন্ডিয়া-ভারত বিতর্কও। এ প্রসঙ্গে সরাসরি মন্তব্য না করলেও, ভারতের পক্ষে ঝোল টেনে এ দেশের ধর্মীয় রীতিনীতির কথা মনে করিয়েছেন মনমোহন। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি মুসলিম বা খ্রিস্টানরাও সংঘের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। তাঁদের কাউকেই ফিরিয়ে দেয়না সংঘ। একই অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব পবন ভার্মাও। তিনি অবশ্য ভারত বিতর্কে সরাসরি মন্তব্য করেছেন। ভার্মার কথায়, দুই নামই ব্যবহার করা যায়। কারণ তিনি মনে করেন, ভারত আর ইন্ডিয়ার মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। বুদ্ধিজীবীরা যে নামেই ডাকুন, দেশের একতায় কোনও প্রভাব পড়বে না।
আরও শুনুন: সম্প্রীতির ভারত! মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, পায়ে হেঁটে রাম মন্দির দর্শনে ৩৫০ মুসলিম ‘ভক্ত’
সম্প্রীতির ভারত! মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, পায়ে হেঁটে রাম মন্দির দর্শনে ৩৫০ মুসলিম ‘ভক্ত’
এছাড়া আলোচনায় উঠে আসে, রাম রাজ্যের প্রসঙ্গও। রামচরিত মানস থেকে বিশেষ কিছু অংশ পাঠ করে এর আসল ব্যাখ্যা দেন ভার্মা। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে, কোভিড মহামারির কথাও। সেসব কাটিয়ে দেশ কীভাবে এক হয়ে আছে, ঘুরে ফিরে সেই আলোচনাই ছিল এদিনের উপলক্ষ। এর মধ্যে সংঘ নেতার যিশুখ্রিস্ট সম্পর্কে করা ওই মন্তব্য আলাদা করে আলোড়ন ফেলেছে। বিশেষ করে, প্যালেস্তাইন যুদ্ধের আবহে এই ধরনের মন্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।