অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রিসভায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনজীবী। সম্প্রতি, বিদেশের মাটিতে এমনই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ওই ব্যক্তি। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বিদেশের মাটিতে দেশের জয় জয়কার। এবার অস্ট্রেলিয়া মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনজীবী বরুণ ঘোষ। সম্প্রতি, সে দেশের এক অন্তর্বতী নির্বাচনে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে। জানা গিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী এই আইনজীবী পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন।
আরও শুনুন: পুনম, মৃত্যু নয় ট্রেন্ডে বিকোল! মৃতদের সম্মান রক্ষা হল কি?
এই ঘোষণায় সে দেশের ভারতীয়রা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। একইভাবে খুশি হয়েছেন বরুণ নিজেও। আসলে, মন্ত্রিসভার এক সদস্য হঠাৎ অবসর নেওয়ায় এই সুযোগ পেয়েছেন বরুণ। বাবা-মা দুজনেই ডাক্তার। তবে বরুণের যাবতীয় আগ্রহ আইন নিয়ে। পড়াশোনাও করেছেন সে বিশয়েই। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগও পেয়েছেন বহু। সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন বরুণ। প্রথমে থাকতেন পার্থ শহরে। সেখানেই পড়াশোনার প্রথম ভাগ। ক্রিস্ট চার্চ গ্রামার স্কুলের প্রাথমিক শেষ করে, অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন কলেজের ভর্তি হন বরুণ। সেখান থেকে স্কলারশিপ নিয়ে কেমব্রিজে। উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণভাবে আইন নিয়েই। দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া সে দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সঙ্গেও যুক্ত বরুণ। এই প্রসঙ্গেই রাজনীতির জগতে পা। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কিং অ্যান্ড উড নামে এক ল ফার্মে সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট হিসেবে যোগ দেন। এইসময়েই সে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং কর্পোরেট সংস্থার পরামর্শদাতা হিসেবেও নিযুক্ত হন বরুণ। এভাবেই রাজনীতির জগতে পা রাখেন। ২০১৯ সালে ফেডেরাল নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টিতে যোগ দেন। তবে সেবার নির্বাচনে ওই দল জেতেনি। কাজেই রাজনীতির অংশ হলেও, মন্ত্রিসভায় সুযোগ পাননি বরুণ।
আরও শুনুন: পড়তে পড়তেই প্রেমে পড়া! লুকোছাপা নয়, সম্পর্কের রসায়ন শেখাবে স্কুলের বই-ই
সম্প্রতি খানিক অপ্রত্যাশিত ভাবেই সে সুযোগ এসেছে। সে দেশের মন্ত্রিসভায় পশ্চিম অস্ট্রিলিয়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বরুণ। এই ঘটনার জেরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়দের উপর প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এবং তা অবশ্যই ইতিবাচক দিক দিয়ে। তাই বিদেশের মাটিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনজীবীর এই সুযোগ পাওয়ার ঘটনায় সকলেই বেশ উচ্ছ্বসিত। আগামী দিনে সে দেশের রাজনীতিতে বরুণের মতও গুরুত্ব পাবে। ফলে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেটা আখেরে ভারতীয়দের কতটা উপকারে আসে, তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন অনেকেই।