বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরল প্রাথমিক মামলা। শিক্ষা মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি সেনও। ‘জেনেশুনে ভুল করলে আইন আইনের পথে চলবে।’ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। রাহুলের যাত্রায় অসহযোগ, ইতি জোট সম্ভাবনায়। বাজেট অধিবেশনেই পাশ হতে পারে CAA, তৎপর কেন্দ্র। পাকিস্তানে নির্বাচনের আগেই ফের ধাক্কা ইমরান খানের। দেশের গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে শাস্তি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 জানুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- জোট বদলে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, কটাক্ষ কংগ্রেসের
বিস্তারিত খবর:
1. বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরল প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। এবার থেকে এই সংক্রান্ত মামলা শুনবেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি সৌমেন সেনের নজিরবিহীন সংঘাতের মাঝেই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের এই সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে প্রধান শ্রমিক ও শিল্প সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। এদিকে শিক্ষা দুর্নীতি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনও। উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে কিছু বলতে চাইলে তাঁকে থামিয়ে দেন বিচারপতি সেন। তারপরই ঘোষণা করেন মামলা থেকে সরে যাওয়ার কথা।
অন্যদিকে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত নিয়ে এবার মুখ খুল্লনে খোদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। মঙ্গলবার এজলাস শেষে তিনি বলেন, “যা হয়েছে, তাতে আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং লজ্জিত। আদালতে এটা আশা করা যায় না।” গোটা ঘটনাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেনি সুপ্রিম কোর্টও।
2. স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ জেনেশুনে ভুল করলে আইন আইনের পথে চলবে, রায়গঞ্জ থেকে সাফ জানালেন মমতা। একইসঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচুর নিয়োগের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
লোকসভার আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার দিনভর দুই দিনাজপুরে ঠাসা কর্মসূচি সারলেন তিনি। আমজনতার কাছে পৌঁছে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে নেওয়ার জন্য চোপড়া, রায়গঞ্জ ও ইসলামপুরে রোড শো করলেন মমতা। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চোপড়ায় তাঁকে ঘিরে জনতার উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে রায়গঞ্জের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দেখা গেল ‘বিদ্রোহী’ আবদুল করিম চৌধুরীকে। কিছুদিন ধরেই তাঁর দলবদলের জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু এদিন বক্তব্যের শুরুতেই তাঁকে সিনিয়র লিডার বলে সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। এ থেকেই স্পষ্ট, নির্বাচনের আগে অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার পক্ষেই সওয়াল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।