কার্যত জাতীয় পতাকার মতোই মর্যাদা দিতে হবে রামধ্বজা-কে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এমনই নির্দেশ দিল্লি পুরসভার। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পতাকা যত্রতত্র ফেলে রাখা অন্যায়। কার্যত সেই একই নিয়ম মানতে হবে রামধ্বজার ক্ষেত্রেও। আর কী জানানো হয়েছে দিল্লি পুরসভার তরফে? আসুন শুনে নিই।
অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে সদ্যই। অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাম মন্দির চত্বর সহ গোটা অযোধ্যা সাজানো হয়েছিল হাজার হাজার রামধ্বজায়। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রাম মন্দির বা সেই সংলগ্ন এলাকাও রামধ্বজায় ভরে ওঠে। এদিকে প্রতিবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে একইভাবে চারিদিক ভরে ওঠে জাতীয় পতাকায়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। এই আবহে, রামধ্বজা ও জাতীয় পতাকার কোনওভাবেই যেন অবমাননা না হয়, সেই নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকার কথা ঘোষণা করল দিল্লি পুরসভা।
আরও শুনুন: মসজিদ থেকে পতাকা নামিয়ে তোলা হল গেরুয়া নিশান, ঘটনায় শোরগোল যোগীরাজ্যে
রামের নাম লেখা গেরুয়া পতাকা। রামমন্দির প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই যা হিন্দুত্বের অন্যতম প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। হিন্দুত্ববাদী মিছিলেও এই পতাকা হাতে সমর্থকদের হাঁটতে দেখা যায়। সেইসঙ্গে বাইক কিংবা গাড়িতেও ছোট ছট রামধ্বজা লাগানোর চল রয়েছে। তবে আগামীদিনেও রামধ্বজার সম্মান যেন কোনওভাবেই ক্ষুন্ন না হয়, সেই দিকে বিশেষ নজর রাখার কড়া নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুরসভা। এমনিতে জাতীয় পতাকার ক্ষেত্রে এই ধরনের একাধিক নিয়ম মানতে হয়। পতাকা তোলা এবং নামানো রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। এমনকি সাজানোর পর সেই জাতীয় পতাকা যত্রযত্র ফেলে রাখাও অন্যায়। অনুষ্ঠানের পর কীভাবে পতাকা সরানো হবে, তার জন্য বিশেষ নিয়ম রয়েছে। আবার পতাকা নষ্ট হলে, বা ছিঁড়ে গেলেও তা ব্যবহার করার নিয়ম নেই। সেক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে সরিয়ে রাখতে হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে সেইসব নিয়মই মনে করিয়ে দিয়েছে দিল্লি পুরসভা। কীভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া পতাকা সরাতে হবে, এবং কোথায় সরাতে হবে সেই সবকিছুই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এর জন্য পুরসভার তরফে দুটি নাম্বারও দেওয়া হয়েছে। যত্রতত্র জাতীয় পতাকা পড়ে থাকতে দেখলেই, ওই নাম্বারে যোগাযোগের কথা বলেছে পুরসভা। তাহলেই পতাকাটি ওই স্থান থেকে সরিয়ে আনার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এর জন্য বিশেষ একটি টিমও তৈরি করেছে পুরসভা। যাদের মূল কাজই হল জাতীয় পতাকার সম্মান বজায় রেখে তার ঠিকমতো নিষ্পত্তি ঘটানো।
আরও শুনুন: ‘বেঁচে থাকতে মন্দির হবে ভাবিনি’, রাম মন্দির উদ্বোধনের আবহে আপ্লুত অয্যোধ্যার ‘রাজা’
তবে এই নিয়ম স্রেফ জাতীয় পতাকার জন্য নয়। পুরসভার নির্দেশ কার্যত একই নিয়ম মানতে হবে রামধ্বজার ক্ষেত্রেও। এর আগে রামধ্বজার অসম্মানকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। নতুন করে তেমন কিছু যেন না হয়, সেই ব্যবস্থাই আগেভাগে সারতে চেয়েছে দিল্লি পুরসভা। ঠিক যেভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া জাতীয় পতাকা সরানো হবে, সেইভাবেই ছিঁড়ে যাওয়া রামধ্বজা সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে দিল্লি পুরসভার তরফে।