বর্ধমান থেকে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে অন্য গাড়ি। ‘ঠিক সময় ব্রেক না কষলে মরেই যেতাম’, দুর্ঘটনার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন মমতা। লোকসভায় একার লড়াই, জোট নিয়ে স্পষ্ট বার্তা মমতার। ন্যায়যাত্রার কথা জানায়নি কংগ্রেস, ক্ষোভ নেত্রীর। পাঞ্জাবে আসনরফায় নারাজ আপও। ‘মামলা করে চাকরি আটকেছে রাম-বাম’। নিয়োগ ইস্যুতে ফের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। শূন্যপদে নিয়োগ করতে দেওয়া হোক, আদালতে আর্জি মমতার। আক্রান্ত হওয়ার ১৯ দিন পর সন্দেশখালিতে ইডি। অধরাই শেখ শাহজাহান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 22 জানুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা রামলালার, বঙ্গে সংহতির বার্তা দিলেন মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. বর্ধমান সফর থেকে ফেরার পথে বিপত্তি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে আচমকা ঢুকে পড়ল অন্য গাড়ি, দুর্ঘটনায় মাথায় চোট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝরল রক্তও। নিছকই দুর্ঘটনা নাকি নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় ষড়যন্ত্র, উঠছে সে প্রশ্ন।
লোকসভা ভোটের আগে উন্নয়নে আরও জোর দিতে বর্ধমান সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের পর একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন তিনি। সব মিলিয়ে দুই জেলায় দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি আর্থিক মূল্যের প্রকল্প উপহার মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতা থেকে চপারে বর্ধমান গেলেও, ফেরার পথে আবহাওয়া খারাপ থাকায় সড়কপথেই ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কনভয়ে আচমকা গাড়ি ঢুকে বিপত্তি। বর্ধমান থেকে ফিরে অসুস্থ শরীরেই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক সেরে বেরিয়ে দুর্ঘটনার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান মমতা। গাড়িচালকের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করে তিনি বলেন, “একটা গাড়ি আমার কনভয়ে আচমকা ঢুকে পড়ে। ২০০ কিলোমিটার বেগে ওই গাড়িটা যাচ্ছিল। আমার গাড়িচালক বুদ্ধি করে ব্রেক কষেন। ঠিক সময়ে ব্রেক না কষলে মরেই যেতাম।” আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে কীভাবে ২০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। X হ্যান্ডলে তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ।
2. লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, ‘একলা চলো’ বার্তা স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বর্ধমান যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেসকে একহাত নিলেন মমতা। বললেন, “একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছি। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এই যে রাহুলের যাত্রা বাংলায় আসছে, INDIA জোটের সঙ্গী হিসেবে আমাদের জানায়নি। জোট কারও একার নয়। আঞ্চলিক দলগুলো সব একসঙ্গে থাকব।” অর্থাৎ এদিন তিনি একপ্রকার ঘোষণা করে দিলেন, বাংলায় সব আসনে একাই লড়বে তৃণমূল।
এদিকে মমতার এই সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত নয় বলেই অভিমত শিব সেনার উদ্ধব শিবিরের। তবে এর ফলে জাতীয় স্তরে বা মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোটে কোনওরকম প্রভাব পড়বে না বলেই জানাচ্ছে তারা। মহারাষ্ট্রের আরেক দল এনসিপির শরদ পওয়ার শিবির আবার বলছে, মমতার এই সিদ্ধান্ত হয়তো কৌশলগত। বাংলায় আসন সমঝোতা কঠিন বলে মনে করছে ইন্ডিয়া জোটের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শরিক আম আদমি পার্টিও। আপ-শাসিত পাঞ্জাবেও জোট হচ্ছে না বলেই কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। একই দিনে দুই রাজ্যে জোট ভেস্তে যাওয়ার খবর ইন্ডিয়া শিবিরের জন্যও অস্বস্তির বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।