নিজে সাধারণ চাকরি করেন। তারপরেও সরকারি তহবিলে কার্যত ৭ কোটি টাকা দান করেছেন এই মহিলা। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ুক রাজ্য জুড়ে, সেই উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ তাঁর। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলে কী হবে, শিক্ষা এখনও দেশের অনেক মানুষের কাছেই অধরা। সর্বশিক্ষা অভিযানের একাধিক প্রকল্প সত্ত্বেও এ দেশে সাক্ষরতার হার এখনও ১০০ শতাংশ নয়। অথচ এ কথাও তো বলাই বাহুল্য, যে, দেশের সামগ্রিক উন্নতির কথা ভাবলে শিক্ষা ছাড়া অন্য পথ নেই। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, এমনটাই মনে করেন অনেকে। আর সে কথা মেনেই নিজের দায়িত্ব পালন করলেন তামিলনাড়ুর এই মহিলা। রাজ্য জুড়ে শিক্ষার আলো যেন আরও খানিক ছড়িয়ে পড়তে পারে, এ কথা ভেবেই বড় অঙ্কের দান করেছেন তিনি। মহিলার এহেন আত্মত্যাগ দেখে চমকেই গিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তারাও। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ঘোষণা করেছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসে সরকারের তরফ থেকেই বিশেষভাবে সম্মানিত করা হবে ওই মহিলাকে।
আরও শুনুন: রামচরিত: বাংলার আছে নিজস্ব ‘অযোধ্যা’, এখনও বইছে ক্ষীণস্রোতা ‘সরযূ’
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন নিজেই জানিয়েছেন ওই মহিলার বিপুল দানের কথা। মাদুরাইয়ের কোডিক্কুলাম অঞ্চলের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম পূরণম আম্মাল। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ক্লার্ক হিসেবে চাকরি করেন তিনি। কিন্তু দান করার জন্য ক্ষমতা নয়, ইচ্ছেই যে সবচেয়ে বড় কথা, তা-ই প্রমাণ করেছেন তিনি। তবে নগদ টাকা দান করেননি ওই মহিলা। বদলে এক একর পরিমাণ জমি দান করেছেন, যার মূল্য ৭ কোটি টাকার সমান। আসলে কোডিক্কুলাম এলাকাতেই একটি সরকারি স্কুলের জমি প্রয়োজন ছিল, যাতে স্কুলটি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত ক্লাস বাড়াতে পারে। কিন্তু সে পরিমাণ সংস্থান ছিল না স্কুলের কাছে। সে কথা শুনেই ওই জমিটি স্কুলের নামে লেখাপড়া করে দান করেছেন এই মহিলা।
আরও শুনুন: ১৩ বছর আগে হারিয়েছিলেন স্ত্রী-কে, খোঁজ মিলল গঙ্গাসাগরের মেলায়
এই দানের জন্য বাড়তি প্রচার, প্রশংসা কিছুই চাননি মহিলা। কিন্তু মহিলার এই অবদানকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খোদ সরকারই। তাঁর এই পদক্ষেপে হাজার হাজার পড়ুয়া উপকৃত হবে বলেই জানিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার।