চাঁদের মাটিতে মানুষের পা পড়েছে বহু আগেই। মহাকাশেও গিয়েছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁদের কেউ যৌনতার চেষ্টা করেছেন? সম্প্রতি এমনই এক প্রশ্ন শুনে বেজায় অবাক হন বিজ্ঞানী মহলের অনেকেই। মহাকাশে যৌনতা নিয়ে কী বলছেন তাঁরা? আসুন শুনে নিই।
একটাই বিছানা। সেখানে ক্রমাগত দুটো শরীরের ওঠা নামা। উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। সঙ্গীর উষ্ণ ছোঁয়া মুহূর্তে শিহরণ জাগাচ্ছে শরীরে। বাড়ির বেডরুমে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই পারে। কিন্তু মহাকাশে? সেখানেও কি এমন যৌন উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হতে পারে? সম্প্রতি সামনে এসেছে এমনই এক অদ্ভুত প্রশ্ন।
আরও শুনুন: ১৩ বছর আগে হারিয়েছিলেন স্ত্রী-কে, খোঁজ মিলল গঙ্গাসাগরের মেলায়
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমানে গোটা বিশ্বে বিজ্ঞান ঠিক কতটা উন্নত হয়েছে। এমন অনেক কিছুই এখন মুহূর্তে করে ফেলা যায়, যা একসময় কল্পনাও করা যেত না। মহাকাশে পাড়ি দেওয়াও বিজ্ঞানের অন্যতম দান বলা চলে। ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে পা রেখেছেন একাধিক মহাকাশ বিজ্ঞানী। মহাকাশে যাওয়াও এখন আর নতুন কিছু নয়। তাই এবার আর স্রেফ যাওয়া নয়, মহাকাশে আরও কী কী করা যায়, সেই নিয়েই আলোচনায় বসেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে চাষবাস করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গবেষণার কাজ কীভাবে করা যায়, সেইসব নিয়েই একাধিক মতামত উঠে আসে। আর এই আবহে সামনে এসেছে যৌনতার বিষয়টিও। বিজ্ঞানীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মহাকাশে অন্যান্য কাজের মতো কি যৌনতাও সাড়া যায়?
আরও শুনুন: যৌনতাই ওষুধ… সপ্তাহে কবার মিলনে ভালো থাকে শরীর মন, জানেন?
উত্তরে সটান না-ই বলে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনিতে মহাকাশে কয়েক ঘণ্টা কাটানোও রীতিমতো কঠিন ব্যাপার। না কিছু খাওয়া যায় সহজে, না কিছু পরা যায় পছন্দ মতো। সবসময় বিশেষ স্পেশস্যুট পরেই দিন কাটাতে হয়। এছাড়া অক্সিজেনের সমস্যা তো আছেই। এতকিছু পরে কি যৌনতা করা সম্ভব? তাই বিজ্ঞানীরা নেতিবাচক উত্তরই দিয়েছেন। যদিও এক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে কিছু সমস্যার কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা। যেমন মহাকাশে গেলেই মাধ্যাকর্ষণ খানিক উলটোভাবে কাজ করে। মানে গ্লাসে জল ঢাললে তা নীচে না গিয়ে উঠে যাবে ওপরে। তাহলে ভেবেই দেখুন, এমন জায়গায় যৌনতা সারতে গেলে কী ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। যদিও বা কোনওভাবে যৌনতা সাড়া যায়, গর্ভধারণের কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। ভ্রূণের পরিণতি পেতেও বেশ সমস্যা হবে। সুতরাং মহাকাশে যৌনতা কার্যত অসম্ভব বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের।