অজানা বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে অন্যদের জানানো। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এভাবেই মোটা টাকা রোজগারের স্বপ্ন দেখেন অনেকে। কিন্তু জানেন কি, এই ভিডিও বানানোর জেরেই ৫০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক যুবক! কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নিই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও চোখে পড়ে। কোনওটা নতুন তথ্যের খোঁজ দেয়, কোনওটা আবার রীতিমতো বিরক্তির কারণ হয়। বিশেষ করে, ভিডিওতে যদি ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়, তবে তা কোনওভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এমনই এক ভিডিওর জেরে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হল নির্মাতাকে।
আরও শুনুন: অখুশি শঙ্করাচার্যরা, মোদির ধর্মাচরণে খুশি কোন ধর্মগুরুরা?
ঘটনাটি চেন্নাইয়ের। সম্প্রতি এক জনপ্রিয় ইউটিউবার অপ্সরা রেড্ডি নামে এক ট্রান্সপার্সনকে নিয়ে একটি ভিডিও বানান। অভিযোগ ভিডিওতে, ওই ইউটিউবার অপ্সরাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করেছেন। শুধু তাই নয়, ভিডিওতে গোটা ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটি সম্পর্কেই বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই ইউটিউবারের সঙ্গে অপ্সরার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা ছিল। তার জেরেই এমন ভিডিও বানিয়েছেন ওই যুবক। তাও একটা নয়, ওই যুবক এই ধরনের বেশ কয়েকটা ভিডিও বানিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। সবেতেই অপ্সরা এবং ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটিকে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা একেবারেই মেনে নেননি অপ্সরা। যুবকের নামে সরাসরি অভিযোগ জানান তিনি। ঘটনার জল গড়ায় আদালত অবধি। সেখানেই সবকিছুর ফয়সালা হয়। গোটা ঘটনা জানার পর যুবককেই দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এই ধরনের মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় করা উচিত না, মামলায় রায় ঘোষণার আগে এমনটাই জানান বিচারপতি। এরপরই নির্দেশ দেন জরিমানার। তাও অল্প কিছু নয়। একেবারে ৫০ লক্ষ টাকা।
আরও শুনুন: ৭৪ শতাংশ মুসলিমই রাম মন্দিরের পক্ষে, সমীক্ষার ফল দেখিয়ে দাবি রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চের
আসলে ওই ভিডিওগুলি অপ্সরার জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। একে তো ব্যক্তিগত আক্রমণ তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়। অন্যদিকে এর জেরে সমাজ জীবনেও বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হয় বলেই জানান অপ্সরা। এমনকি তাঁর বেশকিছু কাজও আটকে যায়। যার দরুণ আর্থিক ক্ষতিও হয়। সবমিলিয়েই আদালতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১.২৫ কোটি টাকা দাবি করেন অপ্সরা। তার মধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা ওই ইউটিউবারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারপতি।