বয়স ১১২। বিয়ে করেছেন ৭ বার। ৫ সন্তান, ১৯ নাতি-নাতনি, এমনকি তাঁদেরও ছেলেপুলে মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনের সংসার। কিন্তু তাতে কী! বৃদ্ধা, ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
কাগজে বিয়ের বিজ্ঞাপনে পাত্রীর খোঁজ করছেন। চোখ আটকাচ্ছে ‘সুন্দরী’, ‘বিবাহে-ইচ্ছুক’, ‘ঘরোয়া’ এই শব্দগুলোয়। এমনই এক বিজ্ঞাপনে হঠাৎ আবিষ্কার করলেন, পাত্রীর বয়স ১১২। অবাক হবেন না, বাস্তবে এমনটা চোখে পড়তেই পারে। কারণ ১১২ বছর বয়সেও ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসার তোড়জোর শুরু করেছেন এক বৃদ্ধা।
আরও শুনুন: অস্ত্র নয়, ‘বালক’ রামলালার জন্য রাশি রাশি খেলনা উপহার আসছে অযোধ্যায়
কথা বলছি মালয়শিয়ার বাসিন্দা সিতি হাওয়া হাসিন (Siti Hawa Hussin) সম্পর্কে। বয়সের কাঁটা ১০০ পেরোলে কি হবে, তাঁর মনের বয়স এখন কুড়ির ঘরেই আটকে। তাই এই বয়সেও নতুন করে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিতি। কথায় আছে, প্রেম কখনও বয়স দেখে হয় না। অসম বয়সের প্রেমের উদাহরণও রয়েছে ভুরি ভুরি। কিন্তু সিতি-র ক্ষেত্রে প্রেমের বিশেষ বালাই নেই। তিনি স্রেফ বিয়ে করতে চান। কী ভাবছেন, এতদিন ‘দিল্লি কা লাড্ডু’ খাননি, বলে চেখে দেখতে চাইছেন? একেবারেই না। এর আগে মোট ৭ বার বিয়ে করেছেন সিতি। কিন্তু কোনওটাই টেকেনি। অর্থাৎ কোনও স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে, আবার কেউ ইহজগতের মায়া কাটিয়ে কবেই চলে গিয়েছেন। তাই এই বয়সে পৌঁছে সিতি কার্যত একা। তাই বলে কি পরিবারের কোনও সদস্য নেই? আলবাত আছে। বলা ভালো, তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা অন্যান্য অনেকের থেকে বেশি। সিতির ৫ সন্তান। ১৯ নাতি-নাতনি। তাঁদেরও সন্তান রয়েছে। সেখানেও প্রায় ৩০ জন। সবমিলিয়ে অন্তত ৫০ জনের ভরা সংসার সিতির। কিন্তু এত মানুষ পরিবারে থাকলে কি হবে, সমবয়সী কেউ আর তেমন বেঁচে নেই। মানে বৃদ্ধার ভাই,বোন, বন্ধু-বান্ধব প্রায় সকলেই গত হয়েছেন। আর সেই কারণে মনের কথা বলার মানুষ কমে গিয়েছে। আর তাই হয়তো বিয়ের কথা ভাবতে হচ্ছে তাঁকে।
আরও শুনুন: রামলালার উদ্দেশে প্রার্থনা করবেন ভক্তরা… ভারতে নয়, রাম মন্দির উদ্বোধনে ছুটি ঘোষণা বিদেশি রাষ্ট্রের
সেক্ষেত্রে বিশেষ সমস্যাও নেই। কারণ বয়স যতই বাড়ুক, তার বিশেষ ছাপ শরীরে পড়তে দেননি সিতি। এখনও একাই হাঁটেন, কারও সাহায্য ছাড়া। খাওয়া-দাওয়া থেকে আরম্ভ করে নিজের যাবতীয় কাজও নিজেই সেরে নেন। চোখের দৃষ্টি যা একটু ক্ষীন হয়েছে। তাতেও কোনও কাজে ফাঁকি নেই। এখনও নিয়ম করে পুজোপাঠ সারেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে আলাপ আলচনাও করেন। এখন প্রয়োজন স্রেফ একজন জীবনসঙ্গীর। তাহলেই জীবনের বাকি দিনগুলো আনন্দে কাটিয়ে দিতে পারেন ১১২ বছরের এই প্রোঢ়া।