নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অ্যোধ্যাকে। রাম মন্দিরের উদ্বোধন বলে কথা! নিরাপত্তার বিশেষ আয়োজন তো থাকবেই। আর সেখানেই বড় ভূমিকা থেকে যাচ্ছে স্থানীয় রিকশা চালকদেরও। কীভাবে জানেন? আসুন শুনে নিই।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা কথাটা আমরা ব্যবহার করি বটে। তবে তা ঠিক কেমন হতে পারে? তাই-ই যেন হাতেকলমে দেখাচ্ছে অযোধ্যা। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। তবে তার আগেই নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে এসপিজি অর্থাৎ স্পেশাল প্রোটেকশোন গ্রুপের হাতে। দায়িত্বরত কর্মীরা তো তৎপরই। সেই সঙ্গে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ভূমিকা থেকে যাচ্ছে স্থানীয় মানুষদের, এমনকী রিকশা চালকদেরও।
আরও শুনুন: রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় ‘ব্রাত্য’! অযোধ্যায় ‘অভিমানী’ দুর্গা বাহিনী, সংঘের মহিলা সদস্যরাও
এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকেই এই নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে এসপিজি। এজেন্সির অফিসাররাই অযোধ্যা পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে, কোথায় কী খুঁত রয়ে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে সিআরপিএফ, উত্তপ্রদেশে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড এবং র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স-ও। সরযূ নদীতে টহল দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে হাই-স্পিড বোটের। মাটি থেকে আকাশ, সর্বত্রই তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে, এবং সেখানে ব্যবহার হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। অযোধ্যার মানুষ নন এমন যাঁরা সেখানে বাস করেন, তাঁদের পরিচয়পত্রও প্রয়োজনে খতিয়ে দেখা হতে পারে। অর্থাৎ এতবড় আয়োজনে কোথাও যাতে কোনও ত্রুটি না হয়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।
তবে, সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক হল, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শামিল করা হচ্ছে স্থানীয় মানুষদেরও। রাস্তাঘাটে নজরদারি ক্যামেরা তো আছেই, এমনকী সাধারণ মানুষের ঘরে বা দোকানপাটের সঙ্গেও জুড়ে দেওয়া হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। যার মাধ্যমে পুরো চত্বরের উপর নজর রাখতে পারবে পুলিশ। একই সঙ্গে স্থানীয় রিকশা চালকদেরও দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে নজর রাখার। কোনও রকম সন্দেহজন কার্যকলাপ দেখলে তখনই তাঁরা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। একই দায়িত্ব স্থানীয় হোটেল বা ধর্মশালায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরও। যদি কেউ কোনও রকম পরিচয়পত্র ছাড়া হোটেলগুলোয় থাকতে চান, তাঁরা সেই খবর দেবেন পুলিশকে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, এই খবরাখবর যাঁরা দেবেন তাঁদের নাম-ধাম গোপন রাখা হবে।
আরও শুনুন: মসজিদে মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার দরকার নেই, ভাগবতের মতেই সায় উমা ভারতীর
রাম মন্দির উদ্বোধনের মতো বিরাট আয়োজন সফল করে তোলা যেমন সরকারের দায়িত্ব, তেমনই সাধারণ মানুষেরও। রিকশা চালক থেকে হোটেলকর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শামিল করে সেই বার্তাই দিল প্রশাসন।