মসজিদে মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার দরকার নেই। রাম মন্দির উদ্বোধনের আবহে এমনটাই বলতে শোনা গেল বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীকে। কিছুদিন আগে প্রায় একই মন্তব্য করেছিলেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে আর কী বললেন উমা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অয্যোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম মুখ তিনি। সেই উমা ভারতীই বলছেন, মসজিদে মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার দরকার নেই। কিছুদিন আগে সংঘপ্রধান মোহন ভাগতবত যা বলেছিলেন, প্রায় সেই কথাই শোনা গেল তাঁর মুখে।
আরও শুনুন: ৩০ বছর মুখে কথা নেই, রাম মন্দির উদ্বোধন হলে তবে মুখ খুলবেন মহিলা
বাবরির ঘটনার পর থেকেই দেশে মন্দির-মসজিদ বিতর্ক বেড়েছে। দীর্ঘ আইনি পথ পেরিয়ে অয্যোধ্যায় তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। আগামী ২২ জানুয়ারি সেখানে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। কিন্তু এই মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঠিক কোথায়? দিনকয়েক আগেই মোহন ভাগবত জানিয়েছিলেন যে, মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার দরকার নেই। তাঁর কথাতে সায় দিয়েই সম্প্রতি উমা জানালেন, “উনি যা বলছেন তাঁর সঙ্গে আমি একমত। কয়েকটি ক্ষেত্র বাদ দিলে দেশের অধিকাংশ ধর্মস্থানই মন্দিরের উপরই তৈরি। তবে, এই জটিলতায় যদি ঢুকতে হয়, তাহলে দেশে হিন্দু-মুসলমান আর শান্তিতে বাস করতে পারবে না।” ঘটনাচক্রে বাবরির ঘটনায় যে ৩২ জন অভিযুক্তের নাম সামনে এসেছিল, তাঁর মধ্যে ছিল উমা ভারতীর নামও। রাম মন্দিরের উদ্বোধনেও তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে, তাঁর বক্তব্য আজকের রাম মন্দির কিন্তু কোনও একজন ব্যক্তির চেষ্টায় গড়ে উঠছে তা নয়। গত ৫০০ বছর ধরে চলা একটা আন্দোলনের সার্থক পরিণতিই এই মন্দির। একই সঙ্গে মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসানেরও যে তিনি পক্ষপাতী তা জানাতেও ভোলেননি।
আরও শুনুন: ‘রাম আয়েঙ্গে’, ভজন গেয়ে আদায় করলেন প্রধানমন্ত্রীর কুর্নিশ, কে এই গায়িকা?
তাহলে কাশী-মথুরা প্রসঙ্গে তাঁর কী বক্তব্য? এ ব্যাপারেও ভাগবতের সুরেই সুর মিলিয়েছেন নেত্রী। জ্ঞানবাপী বিতর্কের পর মোহন ভাগবত জানিয়েছিলেন, মসজিদে গিয়ে শিবলিঙ্গ খোঁজার আর দরকার নেই। বরং এই বিতর্ক মুখোমুখি আলোচনায় বসে মিটিয়ে নেওয়া হোক। ভারতী-র দাবিও ঠিক তেমনটাই। তাঁর কথায়, কাশী বা মথুরায় অবশ্যই মন্দির হোক, তাঁর জন্য শিবলিঙ্গ খুঁজতে যাওয়ার দরকার নেই।
রাম মন্দির নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছহিলেন পুরীর শংকরাচার্য। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, মন্দির উদ্বোধনকে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা লুটবে শাসকদল। সেই আবহেই বিজেপি নেত্রীর এই ধরনের মন্তব্য যে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।