রাম মন্দিরে নির্মাণে অনুদান পাঠিয়েছেন দেশ বিদেশের অনেকেই। মন্দির কমিটির হিসাব বলছে, কয়েকশো কোটি টাকা ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে স্রেফ অনুদান হিসেবেই। এর মধ্যেই বিশাল অঙ্কের টাকা দান করেছেন এক ধর্মগুরু। জানেন তাঁর পরিচয়? আসুন শুনে নিই।
প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দির। মন্দির কমিটির দাবি, এর বেশিরভাগটাই অনুদান হিসেবে এসেছে। প্রতিষ্ঠান বা দল হিসেবে তো বটেই, রাম মন্দিরে ব্যক্তিগত অনুদানও কিছু কম জমা পড়েনি। এ প্রসঙ্গে অনেকেই জানতে চাইছেন, রাম মন্দির নির্মাণে সবথেকে বেশি অনুদান দিলেন কোন ভক্ত?
আরও শুনুন: সাধের বেনারসি শাড়িতেও চাই রাম মন্দিরের ছবি, ‘রামাবলি’ জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আনিসুররা
মন্দির কমিটির তরফে সেইভাবে কারও নাম ঘোষণা হয়নি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে চর্চায় রয়েছেন গুজরাটের এক ধর্মগুরু। এমনকি কেউ কেউ এমনটাও দাবি করছেন, রাম মন্দির নির্মাণে সবথেকে বেশি টাকা অনুদান তাঁরই। অঙ্কটা নেহাতই কম নয়। সংবাদমাধ্যমের দাবি, গুজরাটের মোরারি বাপু নামে ওই ধর্মগুরু রাম মন্দির নির্মাণে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন ১৮.৬১ কোটি টাকা। যদিও এই টাকার অঙ্ক নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অন্য এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে অনুদানের পরিমান বলা হয়েছে প্রায় ১২ কোটি। তবে ১২ হোক বা ১৮, সঙ্গে কোটি জুড়লে তা অবশ্যই বিশাল। জানা গিয়েছে, এই ধর্মগুরু স্রেফ গুজরাট নয়, গোটা ভারতেই বিখ্যাত। অনেকে তাঁকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়ে পুজো করেন। বিদেশেও তাঁর একাধিক ভক্ত রয়েছে। তাঁদেরও অনেকেই রাম মন্দির নির্মাণে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন। একইসঙ্গে সুরাটের এক হিরে ব্যবসায়ীর নাম সামনে এসেছে। তিনিও রাম মন্দির নির্মাণে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন ১১ কোটি টাকা। গুজরাটের আরও অনেক ব্যবসায়ী এমন কোটি কোটি টাকা অনুদান হিসেবে জমা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, গুজরাট থেকেই রাম মন্দিরের জন্য সবথেকে বেশি পরিমাণ অনুদান এসেছে। যদিও এই নিয়েও বিশেষ কোনও বিজ্ঞপ্তি মন্দির কমিটি প্রকাশ করেনি।
আরও শুনুন: দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিয়েই তৈরি অযোধ্যার রামলালার মূর্তি, কিন্তু কেন?
আসলে রাম মন্দিরের জন্য অনুদান পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বহু আগে। কোনও নির্দিষ্ট অঙ্কের মাপকাঠি রাখা হয়নি। কেউ চাইলে ১০ টাকাও দান করতে পারেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন মন্দির কমিটির সদস্যরা। তাই দুহাত উজাড় করে দান করেছেন দেশ বিদেশের রাম ভক্তরা। যাত যা সামর্থ্য সেই মতো রামের মন্দির তৈরি সাহায্য করেছেন। এমনকি দেশের ভিখারিরাও রাম মন্দির তৈরিতে মোটা টাকা অনুদান দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা অনুদান হিসেবে জমা পড়েছে। যা ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দির।