কথায় বলে, ছাগলে কি-না খায়! সুকুমার রায়ের ব্যাকরণ সিং তো লিস্ট করেই বলে দিয়েছিল যে ছাগলে কী খায়, আর খায় না। খাওয়া নিয়ে ছাগলকে খোঁটা দিলেও, গোছা গোছা নোট যে কুকুর খেয়ে ফেলতে পারে, তা কি কেউ জানত! বাস্তবে হল তাই-ই। তাও আবার সারমেয় লাঞ্চ সারল তিন লাখ টাকার নোটে। অতঃপর? আসুন শুনে নেওয়া যাক, মালকিন তারপর ঠিক কী করলেন।
মাত্র মিনিট তিরিশ। আর তাতেই গায়েব প্রায় তিন লক্ষ টাকা। তাও আবার একেবারে নগদে, মানে হার্ড ক্যাশ! না কোনও কেনাকাটা, না চুরি! তাহলে? নেপথ্যে বাড়ির পোষ্য সারমেয়। তিনিই নাকি চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছেন প্রায় তিন লক্ষ টাকা।
আরও শুনুন: রাতারাতি উধাও আস্ত পুকুর! বিহারে অদ্ভুত ‘চুরি’ দেখে তাজ্জব সকলে
ঘটনাটা যে ঘটতে পারে, ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি বাড়ির লোকেরা। বাড়িতে সদস্য বলতে স্বামী-স্ত্রী আর এই পোষ্য। বিশেষ একটা দরকারে টাকা তুলতে হয়েছিল তাঁদের। তোলা টাকা বাড়িতে এনে একটা জায়গায় রেখে দিয়েছিলেন। এমনিতে নিরাপদ জায়গা। আর পোষ্যটি এতটাই শান্ত যে, বাড়ির কোনও জিনিস ছুঁয়েও দেখে না, নষ্টও করে না। ফলে সাত পাঁচ কিছুই ভাবেননি তাঁরা। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ বাড়ির পুরুষটি খেয়াল করেন যে, সাধের পোষ্য বসে বসে নোট চিবোচ্ছে। অবাক কাণ্ড! জীবনে যে অনিষ্ট করেনি তার এমন সাধ হল কেন! আর হল তো হল, একেবারে টাকা খাওয়ার! তখনই ডাকেন তাঁর স্ত্রীকে। ঘটনা দেখে তো দুজনেরই চোখ ছানাবড়া। যতক্ষণে সারমেয়কে নোটের গোছা থেকে সরিয়ে আনা হল ততক্ষণে অবশ্য যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তিন লক্ষ টাকার বেশিরভাগটাই চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে ওই পোষ্য। একে তো এতগুলো টাকা উধাও হয়ে গেল। তার উপর এত নোট খেয়ে পোষ্যটি আদৌ সুস্থ থাকবে তো! চিন্তার উপর চিন্তা!
আরও শুনুন: পুরুষ নয়, শরীরী প্রেমের সাধ মেটাচ্ছে গাছ! সুখের গোপন কথা ফাঁস মহিলার
তড়িঘড়ি তাঁরা পোষ্যকে নিয়ে দৌড়ন এক পশুচিকিৎসকের কাছে। তাঁকে খুলে বলেন সবটা। চিকিৎঅক সব দিক খতিয়ে দেখে বলেন, আপাতত সারমেয়র স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আর টাকা উদ্ধার! সে আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। শেষমেশ পোষ্য কয়েক গোছা নোট উগরে দেয়। আর তার মল আতিপাতি খুঁজে কিছু নোট উদ্ধার হয়। তবে ওই পর্যন্তই। এর বেশি কিছু আশা করাও উচিত নয়। মার্কিন মুলুকের এই ঘটনা রীতিমতো শরগোল ফেলেছে নেটদুনিয়ায়। পোষ্যপ্রেমীরা অনেকেই কুকুরের এমন কাণ্ডে অবাক। পোষ্যের সাধ অনেকেরই থাকে, তবে, সাধের পোষ্যটি যে কখন কী করে বসে, বলা মুশকিল। সাধে কি আর বলে যে সাবধানের মার নেই!