এ কি বিয়ে না শ্রাদ্ধ, যে নিমন্ত্রণ পাঠাতে হবে? সম্প্রতি, অয্যোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে নিমন্ত্রণ পাওয়ার প্রশ্নে, এমনই বিতর্কিত তুলনা টানলেন জেডিইউ নেতা। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে সাজো সাজো রব অয্যোধ্যায়। ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে হাজার হাজার গণ্যমান্য অতিথিকে। তবে সেই তালিকায় নেই বিরোধী দলের অনেকেই। এমনকি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন রাহুল-উদ্ভবের মতো নেতারাও। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল জেডিইউ নেতা কৌশলেন্দ্র কুমারকে। উত্তরে, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানকে সরাসরি শ্রাদ্ধ বা বিয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: তিন তালাকে বিপর্যস্ত জীবন, সেই মুসলিম মহিলারাই বানাচ্ছেন রামলালার পোশাক
লোকসভা ভোটের আগেই খুলছে রাম মন্দিরের দরজা। জানুয়ারির মাঝামাঝি শুরু হয়ে যাবে উৎসবের বহর। মূল অনুষ্ঠান ২২ তারিখ। এই দিনেই রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার শুভ মহরত। সেদিন দেশ বিদেশের গণ্যমান্য অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন রাম মন্দিরে। থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। অতিথিদের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়ে গিয়েছে বিশেষ নিমন্ত্রণ পত্র। আর সেই নিমন্ত্রণ নিয়েই সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন জেডিইউ নেতা তথা বিহারের সাংসদ কৌশলেন্দ্র কুমার। রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ডাক পেয়েছেন কি না, সেই প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে খানিক চটে গিয়েই তিনি বলেন, এ কি বিয়ে না শ্রাদ্ধ, যে নিমন্ত্রণ পাঠাতে হবে? তাঁর দাবি, অযোধ্যা কারও একার নয়। তাই সেখানে যাওয়ার জন্য কোনও নিমন্ত্রণ পাঠানোর প্রয়োজনে নেই। যদিও তিনি নিমন্ত্রণ পেয়েছেন কি না, সেই উত্তর সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন সাংসদ কুমার। উলটে তাঁর যুক্তি, রাম মন্দিরে কেবল ওই একদিন রামের পুজো হবে না। তাই আলাদা করে জানুয়ারির ২২ তারিখ সেখানে যাওয়ার বিশেষ প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। তাঁর কথায়, ওইদিন রাম মন্দিরে সবাই জোড়ায় জোড়ায়, অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী মিলে যাবেন। তারপর রাম-সীতার আশীর্বাদ নিয়ে ফিরবেন। এ প্রসঙ্গে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: ‘মুসলিমরাও রামেরই উত্তরসূরি’, সমন্বয়ের বার্তা দিতেই রামজ্যোতি নিয়ে পথে নামছেন দুই মুসলিম তরুণী
তবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে শ্রাদ্ধ বা বিয়ের সঙ্গে তুলনা করার বিষয়টি মোটেও ভালো ভাবে নেননি অনেকেই। সাংসদ কুমারের মন্তব্যের পালটা কটাক্ষ করেছেন রাম মন্দিরের প্রধান পূজারি। তাঁর কথায়, রাম মন্দিরের উদ্বোধন সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করা মূর্খামি ছাড়া আর কিছুই না। এই পবিত্র অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। যা নিমন্ত্রিত সকলেই সাদরে গ্রহন করেছেন। ২২ তারিখের অনুষ্ঠানের বহরও হবে দেখার মতো। যাঁদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁদের রীতিমতো সম্মানের সঙ্গেই সেদিন মন্দির প্রাঙ্গনে অভিবাদন জানানো হবে বলেই দাবি, রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের। সব মিলিয়ে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই গোটা অযোধ্যায় উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়েছে। এবার মন্দিরের গর্ভগৃহে রামালালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার প্রহর গুনছেন অযোধ্যা সহ গোটা দেশের রামভক্তরা।
#WATCH | Nalanda, Bihar | On invitations being extended to attend the ‘pranpratishtha’ ceremony of Ram Temple on January 22 in Ayodhya, JD(U) MP Kaushalendra Kumar says, “Is it somebody’s son’s wedding that an invitation is being extended? If they won’t invite me, will I not go… pic.twitter.com/UJ4JKSnahf
— ANI (@ANI) January 6, 2024