৮০০ জনের সঙ্গে যৌনতা সেরেছেন। তাও ডিভোর্সের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই। নতুন বছরেও সেই ধারা বজায় রাখতে চান। তার জন্য নিজেকে আরও আকর্ষনীয় করে তোলার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছেন এই মহিলা। ঠিক কী করবেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
পর্দা জুড়ে দুই শরীরের ওলটপালট। কখনও সংখ্যাটা আরও বেশি। বিভিন্ন ভঙ্গিতে নারী শরীরে ডুবে যান এক বা একাধিক পুরুষ। সময়ের জ্ঞান থাকে না কারোরই। আর সেই উদ্দাম যৌনতার দৃশ্যই পর্ন ছবিতে পলক না ফেলে দেখতে থাকেন দর্শকেরা। কাজের খাতিরে প্রায় রোজই এমন যৌনতায় লিপ্ত হতে হয় পর্ন তারকাদের। তবে এই মহিলা পর্ন তারকা বা যৌন কর্মী না হয়েও একাধিক পুরুষের শয্যাসঙ্গী হয়েছেন।
আরও শুনুন: মুসলিম বাইজির প্রেমে পড়ে ধর্ম ‘ত্যাগ’ হিন্দু বাবুর! কী ঘটেছিল সেকালের কলকাতায়?
যৌনতায় বিশ্বরেকর্ডের নজির নেহাতই কম নেই। কেউ টানা ৬ ঘণ্টা ম্যারাথন যৌনতা করে রেকর্ড গড়েছেন, তো কেউ অন্য কোনও বিরল কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবু যৌন্তা নিয়ে মানুষের অদ্ভুত চাহিদার অন্ত নেই। পর্ন তারকারা তো বটেই, বিশেষ পরিচিতি নেই, এমনও অনেকের জীবনে যৌনতা সাধারণ নয়। বয়সকে বা সামাজিক অবস্থাকে তুড়ি মেড়ে নিজের চাহিদাকে প্রাধান্য দেন অনেকেই। ঠিক ধরেছেন, এক্ষেত্রে যৌন চাহিদার কথাই বলছি। যেমনটা করেছেন ব্রিটেনের আন্ড্রু সানসাইন। নিজের যৌনজীবন নিয়ে বরাবরই বেশ খোলামেলা তিনি। বয়স অবশ্য কম হয়নি। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় ১৮ বছর আগে। কিন্তু তাতে কি! যৌন জীবনে এতটুকু ভাটা পড়তে দেননি এই কবছরে। এর মধ্যে প্রায় ৮০০ জনের সঙ্গে যৌনতা সেরেছেন আন্ড্রু। যাঁদের বেশিরভাগই পরিচিত পুরুষ নন। একেবারে প্রথম আলাপেই যৌনতা সেরেছেন এমন ঘটনাও তাঁর জীবনে বহুবার ঘটেছে। আর এই সবকিছুর সঙ্গে বিশেষ যোগ রয়েছে নতুন বছরের।
আরও শুনুন: যৌনতাই ওষুধ… সপ্তাহে কবার মিলনে ভালো থাকে শরীর মন, জানেন?
ঠিক কীভাবে?
এমনিতে ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রদেশে ক্রিসমাসের সময় আলাদা উন্মাদনা চোখে পড়ে। সকলেই উৎসবের মেজাজে থাকেন। তাই কার সঙ্গে কার কেমন সম্পর্ক তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না। পছন্দ হলেই হল। সম্মতি থাকলে যৌনতা সারতেও আপত্তি নেই। আন্ড্রু-র কথায় তিনিও ঠিক এই ভাবে প্রতিবছরের শেষ টুকু রীতিমতো উপভোগ করেন। ক্রিসমাস শুরু হলেই সেই উদযাপন শুরু হয়ে যায়। যার মূলে থাকে যৌনতা। তাঁর কথায়, যৌনতা অনেকটা ওষুধের মতো। যে কোনও মানসিক অবসাদ ভুলিয়ে দিতে পারে এই অভ্যাস। তাই বছরের শেষে নিজেকে আরও আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য একাধিক উপায় বার করতেই আন্ড্রু। বিভিন্ন ধরনের যৌন উদ্দীপক খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে, যৌন আবেদনময়ী পোশাক পরা। কিছুই বাদ দিতেন না। বেশ কিছু সংস্কারও মেনে চলতেন। যেমন ক্রিসমাসের সময় লাল অন্তর্বাস পরা, কিংবা রীতিমতো খোলামেলা পোশাকেই ঘুরে বেড়ানো এমন অনেককিছু। উদ্দেশ্য একটাই, পুরনো বছরের শেষ আর নতুন বছরের শুরু যৌনতার মধ্যেই কাটাবেন। অপরিচিত কারও সঙ্গে সম্পর্ক হলে তো কথাই নেই। আন্ড্রু মনে করতেন সেই বছরটা বিশেষ ভালো কাটবে। তবে এখন আর সেই অভ্যাস নেই। বয়সের ভারে খানিক থেমেছেন বলা চলে। কিন্তু যৌনতা নিয়ে তাঁর উৎসাহে ভাটা পড়েনি এতটুকু। চলতি বছরে ঠিক করেছেন এতদিনের যৌন অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা বই লিখবেন। সেখানে নিজের সমস্ত শয্যাসঙ্গীর কথা লিখবেন। বলাই বাহুল্য, এর মাধ্যমে অনেকের কাছেই তিনি নিজের রঙিন জীবন আরও আকর্ষনীয় হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন আন্ড্রু। যা আগামী দিনগুলোতেও তাঁর কথা মনে রাখতে বাধ্য করবে অনেককে।