পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। কিন্তু তার পাশাপাশি পর্ন ছবিতে মুখ দেখাতে কোনও আপত্তিই ছিল না এই অধ্যাপক ও তাঁর স্ত্রীর। অন্যেরা আপত্তি করতেই সংবিধানের দোহাই দিলেন ব্যক্তি। কী হল তারপর? শুনে নিন।
অধ্যাপক নিজেই নাকি নীল ছবির প্রযোজক। শুধু তাই নয়, ক্যামেরার পিছনে ও সামনে দুই দিকেই সমান সাবলীল তিনি। তাই সময়ে সময়ে পর্ন ছবিতে অভিনয় করতেও দেখা যায় তাঁকে। আর তিনি একা নন, একই কাজ করেন তাঁর স্ত্রীও। ক্যামেরার সামনে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতে আপত্তি নেই কারোরই। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে একইসঙ্গে দুটি পেশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই অধ্যাপক। কিন্তু হল না শেষরক্ষা। শেষ পর্যন্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে তাঁর এই গোপন জীবনের কথাও। আর সব জেনে তাজ্জব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও শুনুন: শুধু উত্তেজনাই বাড়ায় না, খেয়েও ফেলা যায় এই অন্তর্বাস… সত্যি?
এমনিতে এক পেশায় যুক্ত থাকার পরেও আরও কোনও পার্টটাইম কাজে যুক্ত হন অনেকেই। কেউ বাড়তি আয়ের প্রয়োজনে, কেউ আবার নিছকই শখ মেটাতে। যদিও সবরকম পেশার ক্ষেত্রে এই সুযোগ থাকে না। বিশেষ করে যেসব চাকরিতে বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গড়পড়তা হিসেবের চেয়ে খানিক বেশি, সেখানে দায়দায়িত্বও অনেক বেশি থাকে। উপরন্তু শিক্ষক বা অধ্যাপকের মতো সমাজমান্য পেশার ক্ষেত্রে ভাবমূর্তির দায় চলেই আসে। কিন্তু সেসব নিয়ম নিষেধকে একেবারে তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। জো গো যেমন উইসকনসিন ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর, তেমনই তাঁর স্ত্রী কার্মেন উইলসন-ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁরা দুজনে পর্ন ভিডিওতে অভিনয় করতেন, নীল ছবি প্রযোজনা করতেন, আবার একটি চ্যানলে খুলে সেখানে পর্ন তারকাদের সঙ্গে রান্নাবান্নার ভিডিও শেয়ার করতেন এই দম্পতি। পর্ন সিনেমা কীভাবে তাঁদের দাম্পত্যের স্বাদ বাড়িয়েছে, এই মর্মে যৌথভাবে দুটি বইও লিখেছেন তাঁরা। বইগুলির সঙ্গে তাঁদের অভিনীত ভিডিওগুলির লিংকও দিতে ভোলেননি এই দম্পতি। আর এ সবকিছু জানাজানি হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শোরগোল। চাকরি খোয়াতে হয়েছে দুজনকেই।
আরও শুনুন: অন্ধকারেই যৌনতার অভ্যাস! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুল হচ্ছে, বরং…
কিন্তু এরপরেও পিছু হঠতে নারাজ ওই ব্যক্তি। উলটে তাঁর দাবি, তাঁরা যে দেশে বসবাস করেন, তার সংবিধানই নাগরিকদের স্বাধীনতার অধিকার দিয়েছে। নিজের ইচ্ছামতো কথা বলা এবং কাজ করার স্বাধীনতা। সুতরাং সংবিধান মোতাবেক তিনি কোনও ভুল করেননি বলেই দাবি ওই অধ্যাপকের।