অ্যাপ ক্যাবে বাইক চালান ব্যক্তি। অথচ তিনিই নাকি আবার কর্পোরেট সংস্থার ম্যানেজারও। কাণ্ড দেখে তাজ্জব বাইকে সওয়ার তরুণী। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বাজারদরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড় বাড়ছে মানুষেরও। কেবলমাত্র একটি চাকরি করেই সব সাধ আহ্লাদ মিটিয়ে ফেলা যাবে, এমনটা এখন আর ভাবতে পারছেন না অনেক মানুষই। তাই প্রয়োজনের তাগিদেই একটি কাজের পাশাপাশি অন্য পার্ট টাইম কাজ করে থাকেন অনেকেই। খানিক বাড়তি আয় মেলে তো বটেই, আবার কখনও পছন্দের কাজ করার জন্যেও এই পন্থার দ্বারস্থ হন কেউ কেউ। কিন্তু এমনটাও কি হতে পারে, যেখানে বাড়তি আয়ের প্রয়োজন নেই, তবুও বাড়তি কাজ করছেন কেউ? তাও একেবারে স্বেচ্ছাতেই! আগে হ্যাঁ, তেমনই এক কাণ্ডের কথা ফাঁস করেছেন বেঙ্গালুরু শহরের এই তরুণী। এমন এক যুবকের কথা জানিয়েছেন তিনি, যে যুবক একদিকে একটি বড় কর্পোরেট সংস্থার ম্যানেজার, অন্যদিকে তিনি আবার অ্যাপ ক্যাবের চালকও বটে। একজনকেই এমন দুই মেরুর কাজ করতে দেখে চমকে গিয়েছিলেন তরুণী। আর সে কথাই তিনি ভাগ করে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও শুনুন: বড়দিনে বড় চুমু! ঠোঁটের ছোঁয়া বিক্রি করেই বড়লোক হতে চান তরুণী
এমনিতে বেঙ্গালুরু শহরের ট্রাফিক, পরিবহণ ব্যবস্থা, এসব নিয়ে মাঝে মাঝেই কথা হয় নেটদুনিয়ায়। কখনও কেউ বিপুল জ্যামে ফেঁসে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে গন্তব্যে পৌঁছান, তো কখনও কেউ ৪৫ মিনিটের পথ পেরোতে গিয়ে ২০০ মিনিট ধরে ভিড়েই আটকে থাকেন। আর পাঁচজন নেটিজেনের মতো, এ শহরের তেমনই এক মুহূর্তের কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন এই তরুণীও। শ্রুতি নামের ওই তরুণী জানিয়েছেন, অ্যাপ ক্যাবের মাধ্যমে একটি বাইক বুক করেছিলেন তিনি। যাওয়ার পথে এ কথা সে কথায় বেরিয়ে পড়ে, যিনি বাইক চালাচ্ছেন, এটি তাঁর মূল পেশা নয়। তিনি একটি কর্পোরেট সংস্থার ম্যানেজার। শুধু তাই নয়, সে সংস্থাটিও রীতিমতো বড় এবং নামকরা। তবুও কেন এই কাজ করছেন তিনি? ওই যুবকের বক্তব্য, মানুষ যাতে যথাযথ টাকার বিনিময়ে ঠিক সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, সেটুকু নিশ্চিত করতে তাঁর ভালো লাগে। আর সে কারণেই এই কাজ করে থাকেন তিনি।
এই ঘটনা সামনে আসায় ওই তরুণীর মতো বিস্মিত হয়েছেন নেটিজেনরাও। তরুণীর পোস্টে পালটা মন্তব্য করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাও।