পাকিস্তানে নির্বাচনে প্রার্থী হিন্দু তরুণী। এমন ঘটনা সে দেশে বিরল বলা চলে। বিশেষ করে যে অঞ্চলে তিনি প্রার্থী হিসবে দাঁড়াচ্ছেন, সেখানে এর আগে কোনও মহিলা নির্বাচন লড়েননি। তাই হিন্দু নেত্রীকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কে এই নেত্রী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
নতুন বছরের শুরুতেই পাকিস্তানে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ। সেখানেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাভিরা প্রকাশ। আসন্ন নির্বাচনে তিনিও ভোটের ময়দানে নামবেন। এমনিতে পাকিস্তানে মুসলিমদের সংখ্যাই বেশি। তাই হিন্দু প্রার্থী সাভিরার নির্বাচনে দাঁড়ানোয় অনেকেই অবাক হয়েছেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের ওই প্রদেশে এর আগে কোনও হিন্দু মহিলা নির্বাচন লড়েননি। তাই নেত্রীর ব্যক্তিগত পরিচয় জানতে বেজায় আগ্রহ দেখিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।
আরও শুনুন: ‘ক্রীড়ায় বিপ্লব এনেছেন প্রধানমন্ত্রী!’ সাক্ষীদের বিক্ষোভের মাঝেই দেদার প্রশংসা অঞ্জু ববি জর্জের
জানা গিয়েছে, সাভিরা পেশায় একজন ডাক্তার। বছর ২৫-র তরুণী পাকিস্তানের বুনের জেলা থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তাঁর বাবা ওম প্রকাশ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিউপলস পার্টির সঙ্গে জড়িত। তাই ছোট থেকেই বাড়িতে রাজনৈতিক আলোচনা শুনে অভ্যস্ত সাভিরা। বড় হয়ে তিনিও এই দলেই নাম লেখান। এবার দলের হয়ে নির্বাচনেও অংশ নিতে চলেছেন সাভিরা। অনেকেই এই দাবি করছেন, বুনের জেলা থেকে তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন। যদিও এই নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যাথা নেই সাভিরার। তাঁর সামনে এখন একটাই লক্ষ, নির্বাচনে জয়লাভ। নেত্রীর কথায়, বরাবরই রাজনীতির জগতে নিজের বাবাকে অনুসরণ করেছেন তিনি। তাই নির্বাচনে জিতলে বাবার পাথেয় অনুসরণ করেই মানুষের জন্য কাজ করবেন। একইসঙ্গে তিনি একজন ডাক্তার। তাই সে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা তাঁর অন্যতম উদ্দেশ্য। ২০২২ সালে মেডিক্যাল পাস করার পর রাজনীতি আর ডাক্তারি দুটোই চালিয়ে গিয়েছেন সাভিরা। বর্তমানে নিজের দলের মহিলা শাখার সভাপতি তিনিই। তাই নির্বাচন জিতলে মহিলাদের উন্নতিতে বিশেষভাবে কাজ করতে চান তিনি। সেইসঙ্গে সে দেশে মহিলা সুরক্ষা বৃদ্ধিতেও বেশ কিছু ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন সাভিরা। অন্যদিকে ডাক্তারির সুবাদে পাকিস্তানের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালে কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। যার অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয় বলেই দাবি নেত্রীর। ক্ষমতায় না থাকার দরুন, সেই মুহূর্তে কিছু পরিবর্তন করাও তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই নির্বাচন জিতলে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে চান তিনি। তবে এই সবকিছুই সম্ভব হবে নির্বাচনে জিতলে। তাই আপাতত সকলের সমর্থন চেয়েছেন তিনি।