আপনার সঙ্গী কি মিথ্যে কথা বলছে! অথচ কথার চক্করে কিছুতেই ধরতে পারছেন না। ধরার একটা উপায় অবশ্য আছে। গোপনাঙ্গের ইশারাই নাকি ধরিয়ে দেবে সঙ্গীর সত্যি-মিথ্যে। ব্যাপারটা কীরকম? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
চোখকে বলা হয় মনের আয়না। অর্থাৎ যে-কথা কেউ মুখে বলেন না, তা চোখ দেখে অনেকাংশেই বুঝতে পাড়া যায়। ফলত কথায় প্রকাশ না করলেও, চোখের ভাষাও বুঝিয়ে দেয় মনের ভিতর কী চলছে। এ-কথা আমাদের অনেকেরই জানা। তবে অনেক সময় চোখের ভাষাও দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। তাই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে আদৌ সঙ্গী সত্যি কথা বলছেন কি-না তা বোঝা শক্ত হয়ে ওঠে। তবে, যৌনতা নিয়ে যাঁদের চর্চা, সেরকমই এক বিশেষজ্ঞ বলছেন, আরও একরকমের ভাষা আছে, যা ধরিয়ে দেয় সবকিছু। তা হল, শরীরের ভাষা। স্পষ্ট করে বললে, যে অঙ্গ আমরা গোপন করে রাখি, সেই গোপনাঙ্গের ইশারাতেই সঙ্গীর মনের কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আরও শুনুন: উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে উদ্দাম যৌনতায়… কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
সম্পর্কে সন্দেহ আসলে বিষের মতো। একবার তা ঢুকে পড়লে সম্পর্কের সব মাধুর্যই নষ্ট। তবে সন্দেহ যে হানা দেয় তা তো নয়। আর তা নিরসনের জন্যই কার্যকরী এই গোপনাঙ্গের ইশারা। ব্যাপারটির ব্যাখ্যাও বেশ চমকপ্রদ। নারীদের ক্ষেত্রে এই অঙ্গ হল স্তন। স্তনের দিকে তাকালেই নাকি বোঝা যায়, সঙ্গীর মন ঠিক কোনদিকে। বিশেষজ্ঞের মতে, নারীর স্তনেই জমা থাকে মনের গোপন কথা। এবং এত ইশারাময় এই অঙ্গ, এত কথা তা অনুচ্চারে বলে উঠতে পারে, যা শরীরের আর কোনও অঙ্গই বলতে পারে না। সাধারণত ঘনিষ্ঠতার মুহূর্তে যদি স্তনবৃন্তের অভিমুখ থাকে দুই আলাদা দিকে, তাহলে তা একটি বার্তা দেয়। আসলে তা চোখের দৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই বদলাতে থাকে। যার মানে, মস্তিষ্কের দুই অংশ দুটো আলাদা কাজে রত। খোলসা করে বলতে গেলে, ঘনিষ্ঠতার মুহূর্তের সঙ্গী হয়তো অন্য কিছু চিন্তা করছেন। ইশারাময় স্তনবৃন্ত সে কথা বুঝিয়ে দিতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ইশারা মেলে অণ্ডকোষে। তা যত শরীরের সংস্পর্শে অর্থাৎ কাছাকাছি থাকে, তত সঙ্গীর সঙ্গমের জোরদার ইচ্ছে প্রকাশ করে। এই তত্ত্ব পুরোপুরি ঠিক কি-না তা অবশ্য জানা নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মনের উত্তেজনার সঙ্গেই চালিত হয় শরীরের এই বিশেষ অঙ্গগুলি। তাই মনের কথা তার মধ্য দিয়েই বোঝা যায়। অর্থাৎ চোখের ভাষা কেউ যদি গোপন করতেও পারেন, গোপনাঙ্গের ভাষায় কিন্তু গোপন কথাটি আর গোপন থাকে না।