নজিরবিহীন ঘটনা লোকসভায়। সংসদ হামলা নিয়ে আলোচনা চাইতেই গণ সাসপেনশন। লোকসভা থেকে বিতাড়িত তৃণমূলের ৯ সাংসদ-সহ ৩৩ জন। বিরোধী কণ্ঠরোধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।সংসদ হামলার জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টেও। নবম-দশমের চাকরি বাতিল নিয়ে প্রশ্নের মুখে এসএসসি। অসুস্থ হয়ে করাচির হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম। ফের দাপটে ফিরছে করোনা। দেশে একদিনেই মৃত ৫, ভয় ধরাচ্ছে নয়া ভ্যারিয়েন্ট।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সংসদ গ্যাস হামলায় যোগ নেই বাংলার, সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
বিস্তারিত খবর:
1. প্রায় নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল লোকসভা। সংসদ হামলা নিয়ে আলোচনা চাওয়ায় একই দিনে বহিষ্কৃত হতে হল মোট ৩৩ জন সাংসদকে। তাঁদের মধ্যে তৃণমূল সাংসদ আছেন ৯ জন, আছেন কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীও। সংসদ হামলা নিয়ে বিশেষ আলোচনা চেয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। গত শুক্রবারও এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন ১৫ জন সাংসদ। সেই ধারা অব্যাহত থাকল সোমবারও। দুপুর পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি থাকার পরে আলোচনা শুরু হয়। খানিকক্ষণের মধ্যেই একসঙ্গে ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার। সেই তালিকায় রয়েছেন সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার-সহ তৃণমূলের ৯ সাংসদ। এছাড়াও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও সাসপেন্ড হয়েছেন। জানা গিয়েছে, শীতকালীন অধিবেশনে আর যোগ দিতে পারবেন না তাঁরা। সাসপেন্ড হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাংসদরা। তাঁদের মতে, সংখ্যাগরিষ্ঠের বাহুবল কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখতে চাইছে সরকার। বিরোধীদের উপর বুলডোজার চালানো হচ্ছে। এই নিয়ে চলতি অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে সাসপেন্ড হলেন ৪৭ জন সাংসদ।
2. একই দিনে সাসপেনশনের কবলে পড়েছেন তৃণমূলের নয় সাংসদ। খবর শুনে ক্ষোভে কার্যত ফেটে পড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ”যা চলছে সংসদে, তা মোটেই কাঙ্খিত নয়। ভাগ্যবান যে আমি আর এখন সাংসদ নই।” এই প্রসঙ্গেই রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ”সংসদে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছি। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছি। উনি টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তব্য রাখতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে পারেন; আর সংসদ চলছে, এখানে কেন বলবেন না? এই দাবি করেছিলাম বলে তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হল। বিরোধী কণ্ঠ রোধের এই কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়।” এদিনই দিল্লির বঙ্গভবনে সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে হাজির ছিলেন লোকসভা ও রাজ্য়সভার সমস্ত সাংসদ। ছিলেন সম্প্রতি লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়া মহুয়া মৈত্রও। টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগেই তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। যে ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ গোটা দলই পাশে দাঁড়িয়েছিল মহুয়ার। সেই প্রেক্ষিতেই এদিনের বৈঠকে মহুয়ার উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।