বকেয়া ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন অভিষেকও। দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী তৃণমূল সাংসদ। ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ব্যর্থতা ঢাকতেই ললিতের কলকাতা যোগে জোর’, গ্যাস হামলায় বিজেপিকে তোপ কুণালের। সংসদে গ্যাস হামলা কাণ্ডে ধৃত আরও এক। দিল্লি পুলিশের জালে মূল চক্রী ললিত ঝার বন্ধু মহেশ কুমাওয়াত। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার অভিযুক্ত যুবক।ভাঙল ২৫ বছরের রেকর্ড। ৩৪৭ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় ভারতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 15 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বিচারপতি সিনহার স্বামীকে তলব CID-র, শনিবার হাজিরার নির্দেশ
আরও শুনুন: 14 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ, বহিষ্কৃত ডেরেক, সাসপেন্ড আরও ১৪ সাংসদ
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকে কেবল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগামী ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে ওই বৈঠকে থাকার সম্ভাবনা আরও একাধিক দলীয় সাংসদের।
জানা গিয়েছে, একসঙ্গেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা ও অভিষেক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় তাঁর দপ্তরে গিয়ে দেখা করবেন মমতা। তাঁর সঙ্গে থাকবে তৃণমূলের একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলেই থাকার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। থাকবেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন-সহ কয়েকজন সিনিয়র সাংসদ। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও থাকতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগের দিনই দিল্লির নতুন বঙ্গভবনে তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠক হওয়ার কথা। তাতে দলের সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করে রণকৌশল তৈরি করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে তৃণমূলের আন্দোলনকে দিল্লির দরবারে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেকই। ফলে বৈঠকে অভিষেকের উপস্থিত থাকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
2. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যর্থতা ঢাকতেই ললিতের কলকাতা যোগকে হাতিয়ার করছে বিজেপি। সংসদে গ্যাস হামলা কাণ্ডে বিজেপিকে তোপ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। পালটা হামলাকারীদের পাস দেওয়া বিজেপি সাংসদকে বহিষ্কারের দাবিতে সুর চড়ালেন কুণাল।
গত ১৩ তারিখ সংসদে গ্যাস হামলার ঘটনায় মূল চক্রী হিসাবে উঠে এসেছে ললিত ঝা-র নাম। তার কলকাতা যোগের কথা প্রকাশ্যে আসার পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে তার ছবিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর এই তথ্যকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি, যা নিয়ে এবার পালটা দিল তৃণমূল শিবির। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন, “সংসদের নিরাপত্তার ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে এরা কলকাতা যোগের কথা বলছে। বড় কথা হল, বিজেপি এমপির ইস্যু করা পাসে তারা সংসদে ঢুকেছে। আসল কথা হল নিরাপত্তায় গাফিলতি। যদি এই ছেলেগুলো খারাপ হয়, জঙ্গি হানার প্রবণতা থাকে, তাহলে বিজেপি সাংসদ তাকে ঢুকতে দিলেন কেন?” জানা গিয়েছে, হামলাকারীদের ভিজিটার্স পাস দিয়েছিলেন মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা। ওই সাংসদকে বহিষ্কারের দাবি তোলার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতেও এবার সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।