অস্থায়ী ছিল বিশেষ মর্যাদা। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল বৈধই, রায় সুপ্রিম কোর্টের। দ্রুত সারতে হবে বিধানসভা ভোট, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনকেও। কাশ্মীর নিয়ে সুপ্রিম রায়কে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর। ৩৭০ ধারা বিলোপেই শান্তি ফিরেছে উপত্যকায়, দাবি শাহের। বিরোধিতায় সরব আবদুল্লা থেকে মুফতি-রা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী SLST আন্দোলনকারীরা। প্রায় সাড়ে ৫ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর। সাংসদ পদ খুইয়েও হাল ছাড়তে নারাজ মহুয়া। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করলেন মামলা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়। সোমবার চূড়ান্ত রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, যত দ্রুত সম্ভব জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন শেষ করতে হবে বলে সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।
জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। সেগুলিকে একত্রিত করে সম্প্রতি শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সেই শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সহমত হয়ে জানিয়ে দেয়, “সংবিধানের ৩৭০ ধারা একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ৩৭০ ধারা। এই ধারা বিলোপ করে দেওয়ার অধিকার রয়েছে রাষ্ট্রপতির। সাংবিধানিক পদ্ধতিতেই ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে।” আদালত আরও জানায়, দ্রুতই জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা দিতে চলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সবুজ সংকেত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
2. ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ঐতিহাসিক বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আশা, উন্নতি এবং ঐক্যের পথে উপত্যকাকে এগিয়ে দিতে সহায়ক হবে এই সিদ্ধান্ত, এক্স হ্যান্ডেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন মোদি। সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, কাশ্মীর ও লাদাখের জন্য যাবতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হবে। সুফল পাবেন ৩৭০ ধারায় বঞ্চিত আমজনতাও। সুপ্রিম রায়কে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও টুইটে বলেন, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উপত্যকায় শান্তি ফিরেছে। পর্যটন-সহ নানা ক্ষেত্রে উন্নতির ফলে আমজনতার আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। যদিও সুপ্রিম রায়ে খুশি হতে পারছেন না গুলাম নবি আজাদ, মেহবুবা মুফতি, অমর আবদুল্লার মতো কাশ্মীরের নেতারা, ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই যাঁরা আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, “এই রায় দুঃখের এবং দুর্ভাগ্যজনক।” পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নেতা মেহবুবা মুফতির মন্তব্য, “কাশ্মীরের মানুষ হার মানবে না, আশা ছাড়বে না। আমাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার লড়াই অব্যাহত থাকবে।” লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা-ও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।