উদ্দাম যৌনতায় শরীরী সুখ চেটেপুটে নিতে আপত্তি নেই। তবে আপত্তি সন্তানধারণে। তাহলে সঙ্গমের এক পর্যায়ে গিয়ে তো রাশ টানতেই হবে। যোনি থেকে সরিয়ে নিতে হবে পুরুষাঙ্গ। কিন্তু কথা হল, কতখানি কার্যকরী হতে পারে এই পদ্ধতি? শুনে নেওয়া যাক।
শরীরে শরীর মিলিয়ে দিয়ে নিঃশেষে সুখ পেতে চাইছেন দুজনেই। তাই ইচ্ছে হলেই মেতে উঠছেন তুমুল সঙ্গমে। কিন্তু আবেগ যতই ভাসিয়ে নিয়ে যাক, তার মধ্যেও অন্য একটি বিষয়ে খেয়াল না রেখে উপায় নেই। যৌনতার তৃপ্তি উপভোগ এক জিনিস। আর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সিদ্ধান্ত আর এক জিনিস। যৌনতায় লিপ্ত হচ্ছেন মানেই যে কেউ অন্তঃসত্ত্বা হতে চাইছেন, তা তো নয়। আর তাই অনেকেই এই ক্ষেত্রে নানা সাবধানতা অবলম্বন করেন। এদিকে গর্ভরোধের জন্য কন্ডোম জাতীয় কিছু ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আবার অনেকেরই আপত্তি থাকে। কেউ কেউ একে অপরের শরীরকে এতটাই অনুভব করতে চান যে, সেখানে তেমন কোনও বাধাও তাঁরা রাখতে নারাজ। সেক্ষেত্রে অনেকেই ভরসা রাখেন ‘পুল আউট মেথড’-এর উপর। অর্থাৎ সঙ্গমের একেবারে চূড়ান্ত মুহূর্তে, বীর্যপাতের ঠিক আগে যোনি থেকে পুরুষাঙ্গ সরিয়ে নেওয়া। এই প্রক্রিয়ায় সঙ্গমে কোনও প্রভাব পড়ে না যেমন, তেমনই ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, যোনির ভেতরে বীর্যপাত না হওয়ায় গর্ভধারণের আশঙ্কাও নেই। কিন্তু প্রশ্ন এখানেই। এই পদ্ধতি আদৌ কি এতটাই কার্যকরী? তাতে কি কোনও আশঙ্কাই নেই গর্ভধারণের?
আরও শুনুন: রোজ হস্তমৈথুনে দিনে দিনে কমে বীর্য! নাকি উলটো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন…
বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, আদৌ তেমনটা নয়। এই পদ্ধতিতেও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার সামান্য সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর ব্যর্থতার হার যদিও খুবই কম, মাত্র চার শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ৪ জন এই পুল আউট মেথডে যৌনতা করলেও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তে পারেন। আসলে যতই যাই বলুন না কেন, উত্তেজনার চূড়ান্ত মুহূর্তে রাশ টানা কি আর সহজ? তাই অনেকসময়ই সামান্য দেরি হয়ে যায় কারও কারও। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। তাই, যদি সন্তানধারণের ভাবনা একান্তই না থাকে, তাহলে সঙ্গমের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।