সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। ইনফোসিস প্রধান নারায়ণ মূর্তির এই দাবি ঘিরে রীতিমতো উত্তাল হয়েছিল নেটদুনিয়া। এবার সেই প্রসঙ্গ উঠল সংসদেও। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? আসুন শুনে নিই।
দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আরও বেশি খাটতে হবে তরুণদের। প্রত্যেকের উচিত সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করা। কিছুদিন আগে ইনফোসিস প্রধান নারায়ণ মূর্তির এই দাবি শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল সকলের। কেউ কেউ ধরেই নিয়েছিলেন সরকারি ভাবে এই নিয়ম লাগু হতে চলেছে এবার। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গই ফিরল সংসদে।
আরও শুনুন: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আরও বাড়বে! সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাবে বিস্ফোরক চিকিৎসক
খাতায় কলমে সময়ের হিসাব যাই থাকুক, বেসরকারি সংস্থায় অতিরিক্ত কাজ করা কোনও নতুন ব্যাপার নয়। কখনও ছুটির দিনেও ছুটতে হয় অফিস। বিশেষত দেশের আইটি ফার্ম গুলোতে এই প্রবণতা ভালোমতোই চোখে পড়ে। এদিকে সরকারি দপ্তরে এসবের বালাই নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ সরকারি অফিসেই নির্দিষ্ট সময় ছুটি পান কর্মীরা। তবে নারায়ণ মূর্তির সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাব শুনে অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার সর্বত্র লাগু হতে চলেছে এই নিয়ম। নেটদুনিয়ায় এই নিয়ে একাধিক সমালোচনাও হয়েছে। এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্ন রাখলেন বিরোধীরা। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই, কংগ্রেসের তিন সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, সরকার এই ৭০ ঘণ্টা কাজের বিষয়টি নিয়ে ঠিক কী ভাবছে? সকলের বোঝার সুবিধার্থে নারায়ণ মূর্তির প্রস্তাবের কথাও উল্লেখ করেন তাঁরা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রী রামেশ্বর তেলী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সরকারের তরফে এই প্রসঙ্গে কিছুই ভাবা হয়নি। অর্থাৎ শুধু সরকারি দপ্তর নয় সামগ্রিক ভাবে দেশের কোনও সংস্থাতেই এমন নিয়ম চালু করার কথা কেন্দ্রের তরফে ভাবা হয়নি।
আরও শুনুন: ‘দেশের জন্য ৪০ ঘণ্টা, নিজের জন্য ৩০ ঘণ্টা’, মূর্তির সমর্থনে মাহিন্দ্রা সিইও
যদিও নারায়ণ মূর্তির ওই মন্তব্যের সমর্থন করতেও শোনা গিয়েছিল একাধিক শিল্পপতিকে। কেউ কেউ বলেছিলেন, মূর্তির ওই মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আসলে ৭০ ঘণ্টা কাজ বলতে তিনি কোনও একটি সংস্থায় সময় দেওয়ার কথা বলেননি। শিল্পপতিদের একাংশের দাবি ছিল, ওই সময় নিজের জন্য ব্যয় করার কথা বলেছেন মূর্তি। দেশের সামগ্রিক উন্নতির জন্য প্রত্যেকের নিজেকে উন্নত করা দরকার। যা তাঁর ভবিষ্যৎ গড়তে যেমন সাহায্য করবে, তেমনই দেশের উন্নতির পথ আরও মসৃণ হবে। সবমিলিয়ে এই ইস্যু নিয়ে বিভিন্নভাবে উত্তপ্ত হয়েছে নেটদুনিয়া। আর সেই আঁচ এবার পড়ল সাংসদেও। যেখানে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের ভাবনা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।