আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে। ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মিজোরামে পালাবদল। একেবারেই দাগ কাটতে পারল না বিজেপি, কংগ্রেস। গদিচ্যুত জোরামথাঙ্গা, সরকার গঠনের পথে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ বিজেপি বিধায়কদের। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে FIR তৃণমূলের। মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকসভায় পেশই হল না এথিক্স কমিটির রিপোর্ট ।উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল বৈঠক ফলপ্রসূ। ফের রক্তাক্ত হিংসাদীর্ণ মণিপুর। ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ইন্ডিয়া জোটের আগামী বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সোমবার সাফ জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরের তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ভ্রাডুবির পরেই, আগামী ৬ ডিসেম্বর জোটের বৈঠক ডাকেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে এ বিষয়ে আগাম কোনও তথ্যই তাঁর কাছে ছিল না জানিয়ে মমতা বলেন, “আমাকে ফোনেও কিছু জানানো হয়নি। তা ছাড়া আমি তো উত্তরবঙ্গ চলে যাচ্ছি। ৬ তারিখ সন্ধ্যায় হয়তো পৌঁছব। ওখানে কয়েকদিন থাকব। যদি আগে জানতাম, তাহলে অন্যরকম ভাবে প্রোগ্রাম সাজাতাম।” তিনি জানিয়ে দেন যে, নির্ধারিত উত্তরবঙ্গ সফরে কোনও বদল হচ্ছে না। একই কথা জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-ও। উত্তরবঙ্গ সফরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময়ই তিনি জানান, “ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক নিয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।” সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দেন আমন্ত্রণ পেলেও এই মুহূর্তে কর্মসূচিতে বদল সম্ভব নয়। অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোটের আগামী বৈঠকে যে মমতা, অভিষেক কেউই থাকতে পারছেন না, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন দুজনেই। তবে, বিজেপির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে কংগ্রেসের পর্যুদস্ত হওয়ার পর, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ না জানানো বিশেষ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
2. মিজোরামে রাজনৈতিক পালাবদল। দলগঠনের মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই রাজ্যে সরকার গঠনের পথে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। সোমবার ভোটগণনার পর থেকেই পরিস্কার, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে নতুন রাজনৈতিক দল। ২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করে গঠিত হয় জেডপিএম। সেই বছরই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে আটটি আসনে জয় পায় লালডুহোমার দল। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসে তারা। ৫ বছর পরে নিজেদের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়তে পারে বলেই দেখা যাচ্ছে নির্বাচনী ফলাফলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। অর্থাৎ জোরামথাঙ্গা কে গদিচ্যুত করে সরকার গঠন করতে চলেছে এই দল। এই নির্বাচনে বিজেপি এবং কংগ্রেসের কার্যত কোনও প্রভাবই থাকল না। নতুন রাজনৈতিক দলের সরকার গঠন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।