লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্যে ফের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। কর্মসূচির দিনক্ষণ জানাল নবান্ন। জানুয়ারির গোড়াতেই পরিষেবা মিলবে আবেদনকারীদের। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা কাণ্ডে বিপাকে বঙ্গবিজেপি। পদ্ম বিধায়কদের তলব লালবাজারের। শুভেন্দুর সাসপেনশনের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বয়কট’ বিজেপির। বয়কটের রাজনীতি বন্ধ হোক, বিরোধিতা দিলীপ ঘোষের। সিবিএসই পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় ঘোষণা। মার্কশিটে ডিভিশন, গড় নম্বরের উল্লেখ নয় আর। অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা কমাতে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত বোর্ডের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 নভেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বঞ্চিতদের বকেয়া মেটানোর টাকা মিলল কীভাবে, বিধানসভা থেকে জবাব মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্যে ফের শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই জনপ্রিয় সরকারি কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। শিবির চলবে টানা এক মাস। তার মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর বছরের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে আবেদন জমা নেওয়ার পর্ব। তারপর ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হবে আবেদনকারীদের।
বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে আগামী ১৫ তারিখ থেকে পক্ষকালব্যাপী রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার শুরুর খবর জানিয়ে দেওয়া হয় জেলাশাসকদের। জানা গিয়েছে, এবারের শিবিরে রাজ্য সরকার জোর দিচ্ছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পড়ে থাকা টাকা খরচের উপর। রাজ্য সরকারের যে সমস্ত কাজ এখনও শুরু করা যায়নি, সেগুলোর জন্য অবিলম্বে টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় শৌচাগার নির্মাণ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার পাশাপাশি থমকে থাকা কাজগুলিও চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে শেষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের কোনও মানুষ যাতে সরকারি পরিষেবা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়েও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
2. জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগে রীতিমতো বিপাকে বিজেপি বিধায়করা। তদন্তে নেমেই গেরুয়া শিবিরের বিধায়কদের তলব করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। আগামী সোমবার পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে তলব করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি অমিত শাহের কলকাতায় আসার আবহে উত্তাপ ছড়িয়েছিল বিধানসভাতেও। একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর উপস্থিতিতে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি চলছিল, সেখানেই শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা হাজির হয়ে পালটা ধরনা শুরু করেন। সেখানেই ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন। এরই মধ্যে ধরনাস্থলে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করে তৃণমূল। অভিযোগ, ওই জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনও নিজেদের মতো স্লোগান দেওয়া চালিয়ে যায় বিজেপি। এরপরেই মোট ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনে প্রথমে স্পিকারের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। পরে অভিযোগ দায়ের করা হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে ওই মামলার তদন্তভার গিয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে। আর তারপরেই মনোজ টিগগা, দীপক বর্মণ-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ককে তলব করল লালবাজার। এদিকে দুদিন ধরে বিজেপি-তৃণমূলের লাগাতার ধরনা কর্মসূচির পর শুক্রবার আবার বিজেপির ‘শুদ্ধিকরণ’ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর। এদিন আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ গঙ্গাজল দিয়ে ধুইয়ে, ফুল ছড়িয়ে, জাতীয় সংগীত গেয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে মার্শালের সামনে প্রশ্ন তুলেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারের অনুমতি ছাড়া বিধানসভা চত্বরের কোথাও কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না বলে কড়া নিয়ম জারি করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।