শাহি সভার পরদিনই তৎপর সিবিআই। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার ২৮ লক্ষ টাকা ও বিপুল গয়না। ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’, তোপ ফিরহাদের। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রং বিতর্কের মাঝেই মোদিকে চিঠি মমতার। প্রকল্পের খতিয়ান দিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বরাদ্দ অর্থ দাবি নেত্রীর। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগে বিজেপিকে তোপ তৃণমূলের। ১২জন পদ্ম বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের শাসক দলের। তালিকায় নেই শুভেন্দু অধিকারী।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 নভেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বঞ্চিতদের বকেয়া মেটানোর টাকা মিলল কীভাবে, বিধানসভা থেকে জবাব মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. অমিত শাহের সভার পরদিনই রাজ্য জুড়ে তল্লাশি অভিযান সিবিআই-এর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র ধরে এক তৃণমূল বিধায়ক এবং দুই কাউন্সিলরের বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা, মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারের মোট ৮ জায়গায় সিবিআই তল্লাশি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি, তোপ ফিরহাদ হাকিমের।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি করে ফের বিপুল টাকা উদ্ধার করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এর আগেও গরু পাচার মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই এবং এনআইএ। এবার সাড়ে ছয় ঘণ্টা টানা তল্লাশির পর নগদ ২৮ লক্ষ হাজার টাকা ও ১২ ভরি সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। যদিও বিধায়কের দাবি, ওই গয়না তাঁর শ্বশুরবাড়ির তরফে স্ত্রী ও মেয়েকে দেওয়া হয়েছে। আর নগদ টাকা সম্প্রতি জমি বিক্রি করে পেয়েছেন। বিধায়কের দাবি আদৌ সঠিক কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এদিকে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে ৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। একইসঙ্গে ৬ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয় বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর দুটি বাড়িতেও। ঘাসফুল শিবিরের কাউন্সিলর বলেই তাঁদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে, দাবি দেবরাজের।
2. সাদা-নীল বনাম গেরুয়া যুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে, এই অভিযোগে বার বার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবার সেই রং বিতর্কের মাঝে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেদন জানালেন, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে বাংলার জন্য বরাদ্দ টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হোক। নইলে প্রকল্প চালাতে অসুবিধা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসাথী, শিশুসাথী, মাতৃমা, চোখের আলো-সহ স্বাস্থ্যখাতে একাধিক প্রকল্প রয়েছে রাজ্য সরকারের। সব কটিতেই বিনামূল্যে চিকিৎসা হয়। সেসব প্রকল্পের সঙ্গে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী বিশদে জানিয়েছেন, কীভাবে বাধা সত্ত্বেও প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। তথ্য বলছে, রাজ্যে ৬৫টি ব্লক ও ২৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির খরচের খতিয়ান ছ’মাস আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রকে পাঠিয়েছে নবান্ন। এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর-সহ ১৩টি রাজ্যকে ইউসি-র অপেক্ষা না করেই বকেয়া মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য ৮২৬ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা এখনও আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন। আটকে রাখা হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের বকেয়া তিন হাজার কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতেই এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বরাদ্দ অর্থ মেটানোর কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।