এক সম্পর্কে থাকতে থাকতেই অন্য সম্পর্কে ছুটে যাওয়া। অর্থাৎ পরকীয়া। তা কি আদৌ ভালো? নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে তা নাকি দাম্পত্যের জন্য স্বাস্থ্যকর! এমনকী যৌনজীবনেও আনে উদ্দীপনা। খটকা লাগছে! আসুন নয়া সমীক্ষা কী জানাল, শুনেই নেওয়া যাক।
সম্পর্ক অটুট থাকে ভালোবাসার গুণে। সেই ভালোবাসা অন্য সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ হয়ে গেলেও কি সম্পর্কের মাধুর্য একই রকম থাকে! না থাকা উচিত! সাধারণ ধারণা বলে, তা হয় না। পরকীয়া সম্পর্কের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। নীতি-নৈতিকতাও যে বিষয়টিকে অনুমোদন দেয়, তা বলা যায় না। তবে, ঘটনা হল নীতির চোখে ধুলো দিয়েও সমাজে কিন্তু দিব্যি চলে পরকীয়া। একটি সম্পর্কে থাকতে থাকতেই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কেউ কেউ। প্রত্যাশিত ভাবেই সঙ্গীকে লুকিয়েই চলে এই প্রণয়পর্ব। যা সামাজিক অনুমোদন পায় না, সম্পর্কে ফাটলের জন্য যে পরকীয়াকে দায়ী করা হয়, তার নাকি আছে এক স্বাস্থ্যকর দিকও। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা দিল সেই ইঙ্গিত।
১৪০০ জনের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যাঁরা প্রত্যেকেই বিবাহিত। প্রশ্ন ছিল, দাম্পত্যের বাইরের সম্পর্ক কি দাম্পত্যে প্রভাব ফেলেছে? এর উত্তর রীতিমতো চমকপ্রদ। ৭২ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গিনী বা স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে দারুণ উন্নতি হয়েছে। ক্ষতি তো হয়ইনি, বরং গোপন সম্পর্ক তাঁদের প্রতিষ্ঠিত সম্পর্কে আরও জোরাল করেছে। শুধু তাই নয়, ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাঁদের যৌনজীবনের এর ফলে নতুন করে জোয়ার এসেছে। মাসে দু-একবার যৌনতার বদলে, তা এক লাফে তিনগুণ বেড়ে হয়েছে, অন্তত বার ছয়েক। এর আগেও এই বিষয় নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। সেখানেও জানা গিয়েছিল, দশজনে অন্তত সাত জন মনে করছেন যে, বিবাহ-অতিরিক্ত সম্পর্কের খাতিরে তাঁদের দাম্পত্যবন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে। আর এই সন্তুষ্টির দিকে এগিয়ে আছেন মহিলারাই।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়, যৌন হতাশার কারণেই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিবাহিতরা। এটাই একমাত্র কারণ নয়। তবে, অন্যতম তো বটে। প্রথম সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতার আঁচ নিভে এলে, দ্বিতীয় সঙ্গীর কাছে ছুটে যাওয়া। ঘুরিয়ে আবার তা প্রথম সঙ্গীর সঙ্গেই যৌনসম্পর্ককেই মজবুত করে। তখন আর বিবাহ-অতিরিক্ত সম্পর্কের প্রয়োজন পড়ে না। এই কাজ কতখানি উচিত, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে, তবে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া বিবাহিতদের উত্তর, স্পষ্টই এই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে, এর সঙ্গেই বলে রাখা ভালো, ২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন এতে হিতে বিপরীতই হয়েছে। আর ২৬ শতাংশ জানিয়েছেন, পরকীয়ায় তেমন কোনও পরিবর্তন আসেনি জীবনে। অর্থাৎ সবটাই মনের রসায়ন। কার ক্ষেত্রে তা যে কীভাবে কার্যকর হয়ে ওঠে, তা বলা মুশকিল। সমীক্ষা একটা গড় ধারণা রূপরেখাই তুলে ধরতে পারে, এই যা।